Bangla24x7 Desk : প্রাথমিকে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা (টেট)-য় পাশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তালিকায় তাঁর নাম দু’নম্বরে। তবু ‘চাকরি পাওয়া’ এখনও অনেক দূরের ব্যাপার বলেই মনে করছেন অদিতি মজুমদার। তাঁর মতে, টেটের ফলে রয়েছে মাত্র পাঁচ নম্বর। বাকি অনেকটাই ইন্টারভিউয়ে। তবে ফলপ্রকাশের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রতি তাঁর ভরসা ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন অদিতি।

দীর্ঘ বিতর্ক ও চাপান-উতোরের পর শুক্রবার ২০২২ সালের টেটের ফলপ্রকাশ হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাঁচ জন। তাঁদের অন্যতম অদিতি। তিনি আদতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার শ্রীখণ্ড গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কলকাতার বাঁশদ্রোণির ভাড়াবাড়িতে স্বামী, বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। ২০১৪ সালেও টেট দিয়েছিলেন অদিতি। যে পরীক্ষা নিয়ে এখনও মামলা ঝুলে রয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। অদিতি যদিও সে বারের টেটে সফল হননি। তবে এ নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন এ নিয়ে রায় দিচ্ছেন, তখনই টেটের ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট নিয়ে রোজ শুনানি চলছে আদালতে। চাকরি যাচ্ছে বহু জনের। তবে লড়াই এখনও থামেনি, জানালেন অদিতি। কারণ টেটের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারভিউ। অদিতির কথায়, ‘‘যত দিন না চাকরি পাচ্ছি, এই রেজাল্ট বিশ্বাস করতে পারছি না। ইন্টারভিউই তো বাকি। যে হেতু টেটের রেজাল্টে মাত্র ৫ নম্বর রয়েছে, আর ইন্টারভিউতে অনেক বেশি নম্বর রয়েছে, সে কারণেই বলছি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *