Bangla24x7 Desk : ক্রমশই ডুবে যাচ্ছে যোশিমঠ। ফাটল ধরায় একের পর এক বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। বসতি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এহেন পরিস্থিতিতে বদ্রীনাথ মন্দিরের বিপুল ধন সম্পদ কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।একের পর এক বাড়িতে ফাটল , যোশিমঠের নরসিং মন্দিরের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ মাত্র আধ কিলোমিটার দূরত্বে জেপি কলোনিতে একাধিক বাড়ি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বদ্রীনাথের বিষ্ণুদেবকে বর্তমানে যোশিমঠের নরসিং মন্দিরে পুজো করা হয়। কারণ শীতকালে বন্ধ করে দেওয়া হয় বদ্রীনাথ মন্দির। বিষ্ণুদেবের বিগ্রহের সঙ্গে যাবতীয় বহুমূল্য দ্রব্য যোশিমঠে নামিয়ে আনা হয়। তার মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদের একটি মুকুট। একাধিক বহুমুল্য রত্নের পাশাপাশি একটি হিরেও বসানো রয়েছে ওই মুকুটে। একশো বছরেরও বেশি পুরোন একাধিক সোনার মুকুট রয়েছে ওই মন্দিরে। এছাড়াও পুজোর কাজে ব্যবহৃত জিনিসের মধ্যে হিরের মালা, রুপোর বাসনপত্র, সোনার কয়েনের মতো মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে।

বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান অজেন্দ্র অজয় বলেছেন, “নরসিং মন্দির বা আশেপাশে এখনও ফাটল ধরেনি। কিন্তু বিপদের কথা মাথায় রেখে দামি জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেছি আমরা। পিপালকোটির একটি অতিথিশালায় আপাতত সমস্ত জিনিস রাখা হবে। পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পান্ডুকেশ্বরেও মূল্যবান সামগ্রী রাখা যেতে পারে। তবে আপাতত মন্দিরের মধ্যেই রাখা হবে এই সামগ্রী। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যেন মন্দিরে কোনওরকম বিপদ না হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *