Bangla24x7 Desk : প্রয়াত টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাস। দুরারোগ্য ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। থেমে গেল সেই জীবনযুদ্ধ। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে স্বর্ণেন্দুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁরা। শোকবার্তা জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কর্কটরোগে জীবনদীপ নিভল স্বর্ণেন্দুর। বৃষ্টিভেজা দিনে এই শোকবার্তায় মনখারাপ হয়ে গিয়েছে বাংলার সাংবাদিক মহলের। ২০১৪ সালে বিরল ক্যান্সার ধরা পড়ে স্বর্ণেন্দু দাসের। এরপর টানা লড়াই চালিয়েছেন তিনি। তবে এক মুহূর্তের জন্যও কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে চাননি। কৃষক পরিবারে জন্ম। বহু প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কাজের প্রতি ছিল তাঁর অক্লান্ত ভালবাসা। স্বর্ণেন্দু আজ পরপারের পথে পাড়ি দিলেন। রেখে গেলেন বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী এবং ছোট্ট মেয়েকে।
দুঃসংবাদ শুনে মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে স্বর্ণেন্দুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন তিনি। লিখলেন, দক্ষ ও বুদ্ধিদীপ্ত এক ব্যক্তিত্বকে হারাল সাংবাদিক জগত। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও টুইট করেন, “প্রয়াত হলেন টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাস। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ক্যানসার কেড়ে নিল প্রতিভাবান এই সাংবাদিককে। ২০১৪ থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও কাজের প্রতি নিষ্ঠা এতটুকু কমেনি। ওনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি ও পরিবারবর্গ, বন্ধুগণ ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।” মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট রিটুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই এসএসকেএমের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিন, ”ওঁকে বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর দরকার কী ? এসএসকেএমে নিয়ে আসা হোক। এখানে ভাল চিকিৎসা হয়। ওঁর যাতায়াতের ভাড়া আমরা দেব। চিকিৎসার খরচ রাজ্য সরকারের।” স্বর্ণেন্দুর চিকিৎসা চলছিল এখানে। মঙ্গলবার ভোরে সকলকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছেন স্বর্ণেন্দু। তাঁর পরিবারই শুধু নয়, সহকর্মীরাও শোকাহত। রাজ্যবাসীর সর্বময় ‘অভিভাবিকা’ হিসেবে হৃদয়ভাঙার অনুভূতি স্পর্শ করল মুখ্যমন্ত্রীকেও। টুইট বার্তায় তা প্রকাশ করলেন তিনি। স্বর্ণেন্দুর পরিবারের পাশে তিনি সর্বদাই রয়েছেন বলেও বার্তা দিলেন।