Bangla24x7 Desk : লালবাজারের পর স্বাস্থ্যভবনের সামনের রাস্তায় রাত কাটালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, সাফ জানালেন চিকিৎসকরা। রাতেই নবান্নের তলবে বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ প্রতিনিধিকে। কিন্তু সেই তলবে অসন্তুষ্ট চিকিৎসকরা সাড়া দেননি। জানা গিয়েছে পালটা মেলে নিজেদের সমস্ত দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান মঞ্চে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তাঁকে ঘিরে উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানান, এখানে বিজেপির পার্টি অফিস সেখানেই তিনি এসেছেন। তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন রয়েছে তাঁর।
দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থানেই বসে থাকবেন তাঁরা, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায়, সরকারের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ লক্ষ করলে, তবেই অবস্থান তুলবেন। সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনকারীদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেছিল। সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনারা কাজে ফিরুন।’’ বেঁধে দেন সময়সীমাও। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। লালবাজার অভিযানের সময় ভোর হতেই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে বিঁধে স্লোগান তুলেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিনও ভোর হতেই স্লোগানে মুখরিত হল স্বাস্থ্য ভবন চত্ত্বর। আন্দোলনকারীরা স্লোগান তুললেন, “ভোর হল, দোর খোল, দুয়ারে ডাক্তার এলো রে ! ”
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে ই-মেল পাঠিয়ে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নবান্নে আলোচনায় বসতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ই-মেলের ভাষা নিয়ে আপত্তি ছিল আন্দোলনকারীদের। রাত পেরিয়ে সকাল হলেও এখনও জট কাটেনি। তবে আন্দোলনকারীরা জানালেন তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘‘আমাদের বলা হয়েছে ১০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে দেখা করতে। কিন্তু আমাদের দাবি অন্তত ২৫ জন যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি আরও জানান, আলোচনায় বসলেই যে অবস্থান তুলে নেওয়া হবে তা নয়। দাবি পূরণের জন্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে তা দেখার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ।