Bangla24x7 Desk : যোশীমঠের মতোই যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে রানিগঞ্জ। মৃত্যু হতে পারে ২০ হাজার মানুষের। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রকে বিঁধে তাঁর আরও দাবি, ১০ বছর ধরে দরবার করেও ওই এলাকার মানুষের পুনর্বাসনের জন্য় টাকা মেলেনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে বিজেপির পালটা খোঁচা, কেন বিপর্যয়ের মুখে যোশীমঠ তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। রানিগঞ্জে তো অবৈধ খনন চলছে। অবৈধ খনন বন্ধের দায়িত্ব রাজ্যের। সে কাজ তারা করতে পারেনি , এখন কেন্দ্রের উপর দায় চাপিয়ে লাভ নেই।
উল্লেখ্য, মাঝেমধ্যে রানিগঞ্জ-আসানসোলের রাস্তায় বিরাট ধস নামতে দেখা যায়। কয়লা খনিতেও ধস নামে। পুনর্বাসনের দাবিতে অবরোধ-বিক্ষোভ পশ্চিম বর্ধমানের খনি এলাকার নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। তাঁরা বারবার ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এবার সেখানকার মানুষের অভিযোগই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলাতে। মেঘালয় সফরের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এই আশঙ্কা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ” যোশীমঠের মতোই যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে রানিগঞ্জ। ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ৩০ হাজার মানুষ।”
তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১০ বছর ধরে দরবার করেও টাকা মেলেনি।” অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা ইসিএলের দিকেও। বলেন, “ইসিএল জমি নিয়ে রেখে দিয়েছে। কোনও টাকা দিচ্ছে না।” বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “কেন বিপর্যয়ের মুখে যোশীমঠ তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। আর রানিগঞ্জে তো অবৈধ খনন চলছে। দুর্যোগ ঘটলে এর জন্যই ঘটবে। এই অবৈধ খননকাজ বন্ধের দায়িত্ব রাজ্যের। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্যের দায়িত্ব। সে কাজ তারা করতে পারেনি, এখন কেন্দ্রের উপর দায় চাপিয়ে লাভ নেই।”