Bangla24X7 Desk : অনুব্রত মণ্ডল তো জেলে , তাহলে বীরভূমের তৃণমূলের সংগঠনের কি হবে ? এই প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। এই অবস্থায় এগিয়ে এলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। জানালেন , “বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের দায়িত্ব পূরণ করতে তিনি প্রস্তুত।’’ তিনি জানিয়েছেন, “একা অনুব্রতকে তিহাড়ে নিয়ে গিয়ে বীরভুমে তৃণমূলের শক্ত মাটিতে চিড় ধরানো যাবে না। দরকার পড়লে তিনি নিজে গিয়ে ‘ভোট করাবেন’।” যদিও অনুব্রতকে তিহারে নিয়ে যাওয়ার পর দল সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটা মানতে নারাজ মদন মিত্র।

রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনা অনুব্রত মণ্ডল তিহাড়ে চলে যাওয়ার পরে বীরভূমের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা এই বিষয়ে প্রচার চালাতেও শুরু করে দিয়েছে। মদন মিত্র জানিয়েছেন, “একা অনুব্রতকে তিহারে পাঠিয়ে কোনও লাভ হবে না। বীরভুমের লাল মাটি, এই শক্ত মাটিকে এভাবে ভাঙা যাবে না। একটা অনুব্রত গিয়েছে তাতে কী হয়েছে , হাজারটা মদন মিত্র আছে, হাজারটা দেবাংশু আছে।”কামারহাটির বিধায়ক বিরোধীদের উদ্দেশ্য পাল্টা বলছেন, অনুব্রত যেভাবে দল চালাতেন, তিনিও সেভাবেই চালাতে চান দল। বীরভূমের সংগঠন প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, রোম-মোগল সাম্রাজ্যের উপমা। মদন মিত্র উল্লেখ করেছেন, মোগল সাম্রাজ্য একদিনে ভেঙে যায়নি। আবার রোমান সাম্রাজ্যও একদিনে তৈরি হয়নি। অনুব্রতকে তিহারে নিয়ে গেলেও বীরভূমে দলের যে ‘সাম্রাজ্য’ তিনি তৈরি করেছেন, সেই সাম্রাজ্য ভেঙে পড়বে না। বরং অনুব্রতর দেখানো পথেই তিনি বীরভূম জেলার দায়িত্ব সামলে দেবেন।

এরপরই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে মদনের প্রস্তাব, “দল যদি চায় আমি গিয়ে ভোট করাতে রাজি আছি। দরকারে এক মাস গিয়ে পড়ে থেকে ভোট করাব। আমি নিজে থেকে সেটা জানিয়ে রাখছি।” মদন মিত্রের এই স্বেচ্ছায় আবেদন প্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন,”অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে একটা আইনি লড়াই চলছে। আমাদের সংগঠন অটুট আছে। তাঁর আরও দাবি ,“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটি করে দিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নজর রাখছেন। দলের যা করা উচিত, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সব পদক্ষেপ করছে। বীরভূম ঠিকঠাক জায়গায় আছে। বিরোধীদের বলব সে গুড়ে বালি। পঞ্চায়েত ভোট আসলে বুঝবেন। বীরভূমে কী করা উচিত, দল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সমুচিত জবাব বিজেপিরা পাবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *