Bangla24x7 Desk : ষড়যন্ত্র তত্ত্বে সিলমোহর , বিজেপির বিরুদ্ধে ফের আক্রমণাত্মক মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলের নেতা-মন্ত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা তথা বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন তিনি। একের পর এক রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারিতে এবার ষড়যন্ত্রের তত্ত্বেই কার্যত সিলমোহর দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপর গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে রয়েছেন তৃণমূলের আরও নেতা-মন্ত্রীরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে এবার ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’ তুলে ধরলেন মমতা। সরকার ফেলতে ষড়যন্ত্র করে আগামী দিনে ফিরহাদ হাকিম , অরূপ বিশ্বাস, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও বিজেপির বোঝাপড়া হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকে মন্তব্য রাখতে গিয়ে কটাক্ষের সুরে তিনি বলে দেন, “বাংলায় সরকার ফেলার জন্যই একের পর এক নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ববিকে গ্রেপ্তার করো। অরূপকে গ্রেপ্তার করো, অভিষেককে গ্রেপ্তার করো। ভেবেছ, তাহলেই আর নির্বাচনে তৃণমূল জিততে পারবে না।” এরপরই সাধারণ মানুষের উদ্দেশে যোগ করেন, “বিজেপির মিডিয়ার সঙ্গে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে। তাই ওদের একটা কথাও বিশ্বাস করবেন না। যদি দেখেন ববির অনেক সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। তাই ওকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুঝবেন সব সাজানো। টোটালটাই নাটক, মিথ্যে।”

এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গড়ে দাঁড়িয়ে আমজনতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন মমতা। জানতে চেয়েছিলেন, “আমার বাড়িতে ইডি-সিবিআই পাঠালে কী করবেন? রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন তো?” এদিন আর প্রশ্ন নয়। সরাসরি হুঙ্কার দিলেন, তাঁকে জেলে ভরলেও দমিয়ে রাখা যাবে না। মমতার কথায়, “তুমি আমাকেও বন্ধ রাখো না। আমাকে বন্ধ রেখেও দেখো না, কী হয়। নির্বাচনের আগে তো মেরেছিলে। ভেবেছিলে আমি বেরতে পারব না। মনে রেখো, জেলে থাকলেও ঠিকরে ঠিকরে বের হব। দমানো যাবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *