Bangla24x7 Desk : ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন মানিকতলার দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। কিন্তু তার আগেই গণনায় কারচুপি নিয়ে মামলা করেছিলেন ২০২১ সালে মানিকতলা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে লড়াই করা কল্যাণ চৌবে। মানিকতলা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন সুপ্তি পাণ্ডে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রীয়ের নামেই ছাড়পত্র দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট হচ্ছেন অনিন্দ্য রাউত এবং আহ্বায়ক হচ্ছেন কুণাল ঘোষ। নবান্নে ডেকে নেওয়া হয়েছিল মানিকতলা বিধানসভা এলাকার পুরসভার কাউন্সিলরদেরও। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে মমতা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, দলের প্রার্থীকে জেতাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নামতে হবে। কেউ যেন পছন্দ-অপছন্দ দেখতে না যান।তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কুণাল স্পষ্ট জানান, “আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কিছু বার্তা দিয়েছেন। দল যথা সময় জানাবে। বিপুল ভোটে জিততে চলেছি।”
এদিন নবান্নের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তিদেবীকে। ছিলেন কুণাল ঘোষ, স্বপন সমাদ্দার, অনিন্দ্য রাউতরা। বৈঠকে উপস্থিত সকল নেতাই তৃণমূল নেত্রীকে জানিয়ে দেন, দলনেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনেই মানিকতলার ভোটে সকলে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলের প্রার্থীকে জয়ী করবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হওয়ার প্রায় ২৮ মাস পর মানিকতলা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। সুপ্তি শুধু প্রয়াত সাধনের স্ত্রী নন, তিনি মমতার সহপাঠীও ছিলেন। একটা সময়ে গুঞ্জন ছিল, সাধনের কেন্দ্রে তাঁর মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডেকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল। কিন্তু শ্রেয়াকে নিয়ে দলেরই একটি বড় অংশের আপত্তি রয়েছে বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। তার পর সম্প্রতি উল্টোডাঙা আবাসনে ডিজে তাণ্ডবের ঘটনাতেও শ্রেয়ার নাম জড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনা নিয়ে গত শনিবার দলের বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা।