Bangla24x7 Desk : টিটাগড়ে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। গোপন জবানবন্দি দিতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ নির্যাতিতা, তাঁর বাবা ও মা। তাঁদের খোঁজ না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারের লোকজন। প্রতিবাদে পথে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা। টিটাগড় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে, জানান স্থানীয় পুরপ্রধান কমলেশ সাউ।

ঠিক কী হয়েছিল ? গত ৭ সেপ্টেম্বর টিটাগড়ে বছর উনিশের তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। টিটাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। বৃহস্পতিবার সকালে বারাকপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে বাড়ি থেকে বেরোয় ওই নির্যাতিতা এবং তাঁর বাবা-মা। নির্যাতিতার দিদার দাবি, ওই তিনজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশকে জানানোর পরেও কোনও প্রশাসনিক সহায়তা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা এদিন সকালে নির্যাতিতার বাড়িতে যান। এরপর টিটাগড় থানার সামনে যান বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা। তবে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেন তাঁরা। টিটাগড় থানার সামনে বিটি রোডও অবরোধ করা হয়। প্রথমে অবরোধ প্রত্যাহার করার কথা বলে পুলিশ। তবে তাতে রাজি হয়নি আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি উত্তাল হতে শুরু করে। তৈরি হয় ব্যাপক যানজট। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ তাদের মারধর করেছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়ে টিটাগড় পুরসভার পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা কমলেশ সাউয়ের দাবি, বিজেপি স্রেফ প্রচারের লোভে পথে নেমেছে। তিনি আরও বলেন, “পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি যারা দোষী তাদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে। অপরাধীর কোনরকম দল হয় না। অপরাধী অপরাধীই হয়। বিজেপি অযথা এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে।” মেয়েটির পরিবারের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “মেয়েটির পরিবার টিটাগড়েই অন্য কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে।”

                          

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *