Bangla24x7 Desk : সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানাল, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে আইনত বৈধ ছিল। আরও বলা হয় রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে ছ’মাস ধরে আলোচনার পরেই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এইসঙ্গে এদিন নোটবন্দী বিরোধি যাবতীয় মামলা খারিজ করে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য , ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, রাত ৮টা। ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । আচমকা ঘোষণায় বাতিল হয় পুরনো ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট। পরবর্তীকালে সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই বিষয়ে একাধিক মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের মামলা চলছিল বিচারপতি আবদুল নাজির, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি সুব্রহ্মণ্যম এবং বিচারপতি বিভি নাগারত্নের বেঞ্চে। আগেই জানা গিয়েছিল বিচারপতি আবদুল নাজির ৩ জানুয়ারিতে অবসর নেবেন। তার আগে ২ জানুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। সেই মতোই সোমবার নোট বাতিল মামলার রায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় মোদি সরকারের পক্ষেই গেল। এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বদলের জন্য ৫২ দিন সময় দিয়েছিল কেন্দ্র। তা ছিল যথেষ্ট সময়।

কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। যেমন, শুধু মোদির সিদ্ধান্ত ? নাকি রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার পরে ঘোষণা, সংসদীয় প্রক্রিয়া কী ছিল? নোট বাতিলের ফলে কী কী লাভ হয়েছে দেশের? এমন প্রশ্নে মোট ৫৮টি মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত কয়েক মাসে ধরে যার শুনানি চলছিল বিচাপতি আবদুল নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে।  আদালত নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে মোদির পক্ষে রায় দিলেও খানিক ভিন্নমত বিচারপতি বিভি নাগারত্নের।

তিনি জানান, নোটবন্দির মতো সিদ্ধান্ত সরকার ঘোষণা করেছে। যা আদতে সংসদের মাধ্যমে আসা উচিত ছিল। ১২ অক্টোবরে হয় প্রথম শুনানি। ওই দিন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়ে জবাবদিহি করা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে দেশের আমজনতার আদৌ লাভ হয়েছে কি না, এই বিষয়ে ৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা মারফত জানাতে হবে মোদি সরকারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *