Bangla24x7 Desk : টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন বিস্ফোরক তথ্য এল ইডির হাতে। এই মামলায় অভিযুক্ত সন্দেহে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে যে দুর্নীতিতে জড়িত, সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছিল আগেই। এবার তাঁর অন্যান্য আত্মীয়দেরও এই চক্রে যোগসাজশ রয়েছে বলে মনে করছেন ইডির তদন্তকারীরা। মানিকের ভাই, জামাই, বেয়ান – এই তিনজনের নাম সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে যে টাকা নেওয়া হয়েছে, তা ক্যাশ হয়ে ঢুকেছে মানিকের এই তিন আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে।
এছাড়া আরও ৩২৫ জন প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে পাশ করিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ইডির তরফে মানিক ভট্টাচার্যকে ফের ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়। মানিকের আইনজীবী পালটা যুক্তি দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানান। ২০১৪ সালের টেটে অনুত্তীর্ণদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়েছিল, তার হিসেব করলে ২৫ কোটির অঙ্ক পেরিয়ে যাবে। অফলাইন ট্রেনিং সেন্টারগুলি থেকে যে টাকা নেওয়া হত, তার পরিমাণ কম করে ২০ কোটি হবে। এমনকী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ , নেতাজির নামে ট্রেনিং সেন্টারগুলি থেকেও টাকা আদায় হয়েছিল।
সওয়াল জবাবে মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত পালটা প্রশ্ন তোলেন, এই তদন্ত শেষ হতে আর কতদিন লাগবে? সারদা তদন্ত তো ১০ বছর ধরে চলছেই। এই মামলা কি তাই হবে? অভিযুক্তদের বয়স তো ততদিনে অনেক বেশি হয়ে যাবে। তাতে ইডির জবাব, সাত বছরের পুরনো মামলা, সাড়ে তিন বছর ধরে তো অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করাই যায়। আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত টেট মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু বিরোধিতা জানায় ইডি। তারা ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মানিক সহযোগিতা করছেন না।