Bangla24x7 Desk : সুন্দরবনের উপর নজরদারিতে গুরুত্ব। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের পর এবার সুন্দরবন এলাকায় আরও একটি ব়্যাডার বসানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। জেলে ডিঙি থেকে শুরু করে বড় জলযান, কোনওটিই পার পাবে না বাহিনীর হাত থেকে।

বাংলাদেশ থেকে সুন্দরবন হয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে এখন অনেক কড়া এই বাহিনী। সমুদ্র উপকূলবর্তী সুন্দরবনের উপর আরও নজরদারির জন‌্য আরও একটি ব়্যাডার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোস্ট গার্ড সমীক্ষা করছে। সেই মতো কোন দ্বীপ বা উপকূলবর্তী জায়গায় ব়্যাডার বসানো হবে, সেই ব‌্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

এখন ১৫৮ টি টহলদার জাহাজ ও হোভারক্রাফট বাহিনীর হাতে রয়েছে। বাহিনীর নিজস্ব ১৬টি অত‌্যাধুনিক হালকা ওজনের হেলিকপ্টার রয়েছে, যার মধ্যে চারটি বাংলা ও ওড়িশার উপকূলের নজরদারির জন‌্য। আরও ৬টি হেলিকপ্টার নিয়ে আসা হচ্ছে। এই রাজ্যে রয়েছে কোস্ট গার্ডের তিনটি বিমান। নজরদারির উপর গুরুত্ব দিতে ‘বোর্ডিং অপারেশন’ এক বছরেই ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ফলে পূর্ব উপকূলে বেড়েছে নজরদারি।

এমনকী, বাংলাদেশ হয়ে নদীপথে উত্তর-পূর্ব ভারতে যে মালবাহী বা যাত্রীবাহী জলযান চলে, সেগুলির উপর চলছে নজরদারি। গত এক বছরে বাহিনী ৫৯৬ জনকে উদ্ধার করেছে। উপকূলে জাহাজ থেকে তেল পড়ে যাতে দূষণ না হয়, তার জন‌্য বন্দর ও কোস্ট গার্ডের পরিষ্কার করার পরিকাঠামো রয়েছে। চোরাচালানের সঙ্গে সঙ্গে বন‌্যপ্রাণ হত‌্যা বন্ধের জন‌্যও কোস্ট গার্ড বিশেষ নজরদারি রাখছে।

প্রসঙ্গত , ৪৭ বছরে পা দিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। সেই উপলক্ষ্যেই মঙ্গলবার বন্দরে ভিড়েছে বাহিনীর টহলদার তথা হেলিকপ্টার বহনকারী জাহাজ ‘বিজয়’। এই জাহাজে বসে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর আইজি ইকবাল সিং চৌহান জানান, ২০০৮ সালে যখন জলপথে এসে মুম্বইয়ে জঙ্গিরা হামলা করেছিল, তখন থেকে এখন পর্যন্ত উপকূলরক্ষী বাহিনীর পরিকাঠামোর ৭০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *