Bangla24x7 Desk : শনিবার রাজ্যসভা সদস্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে রাকেশ সিনহা, রাম শকল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমালানির। চারজনকেই শাসক দলের সুপারিশে জোট নিরপেক্ষ সদস্য হিসাবে মনোনিত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। পরে, তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে মোদী সরকারের জোটে সামিল করা হয়েছিল। এই চারজনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা নেমে এল ৮৬-তে। এর ফলে, এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১০১-এ। ২৪৫ সদস্যের রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লাগে ১১৩ জন সাংসদের সমর্থন। কাজেই, আগামিদিনে, রাজ্যসভায় কোনও বিল পাশ করাতে গেলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে মোদী সরকারকে।
লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হওয়ার পর, নবীন পট্টনায়ক অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, আর বিজেপিকে সমর্থন করবেন না। বিজেপি সমর্থন পেতে পারে তাদের তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মিত্র, এআইএডিএমকের পক্ষ থেকে। চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি দলের সঙ্গে জোট গড়েছে বিজেপি। মোদী সরকারকে সমর্থন দেবে না বলে ঘোষণা করেননি জগন। জগনের দলের ১১ টি ভোট মোদী সরকার পেতে পারে। রাজ্যসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২২৫। এর মধ্যে ইন্ডিয়া জোটের হাতে ৮৭ জন সদস্য। এর মধ্যে , কংগ্রেসের ২৬ জন, তৃণমূলের ১৩ জন এবং আম আদমি পার্টি ও ডিএমকের ১০ জন করে সাংসদ আছেন।
বর্তমানে রাজ্যসভার মোট ২০টি আসন খালি রয়েছে। এর মধ্যে ১১ টি আসনে নির্বাচন হবে। মহারাষ্ট্র , অসম ও বিহারের দুটি করে আসনে এবং হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং ত্রিপুরায় একটি করে আসনে ভোট হতে পারে চলতি বছরেই। এই আসনগুলির মধ্যে, অসম, বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ত্রিপুরা থেকে বিজেপি তথা এনডিএ সাতটি আসন জিততে পারে। মহারাষ্ট্রে যদি জোট ধরে রাখতে পারে, সেই ক্ষেত্রে এই রাজ্য থেকেও আরও দুটি আসন জিততে পাব়ে এনডিএ। এছাড়া, রাজ্যসভায় মোট ১২ জন মনোনীত সদস্য আছেন। কয়েকজন নির্দল প্রার্থীও আছেন। উচ্চকক্ষে, এনডিএ সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়ার পর, এখন কোনও বিল পাশ করানোর জন্য মোদী সরকারকে তাকিয়ে থাকতে হবে এনডিএ জোটের বাইরে থাকা দলগুলির দিকে।