Bangla24x7 Desk : মাদককাণ্ডে জড়িয়ে গিয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ জেলে কাটাতে হয়েছিল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। ওই মাদকের সঙ্গে বিদেশের মাদক পাচার চক্রের সম্পর্কে জুড়ে দিয়েছিল কোনও কোনও মহল। এ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বলিউড সহ গোটা দেশ। এনসিবি প্রধান সমীর ওয়াংখাড়েকে নিয়ে শিবসেনার সঙ্গে কেন্দ্রের চরম টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। আরিয়ান খানের মাদক মামলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তে একাধিক অসংগতি দেখা দিয়েছে। এমনকি ওই তদন্তে এনসিবি-র ৭/৮ অফিসারের ভূমিকাও বেশ সন্দেহজনক। এমনটাই উঠে এসেছে এনসিবি-র অভ্যন্তরীণ তদন্তে।

শোনা গিয়েছে, বিশেষ এই তদন্তকারী দলই মঙ্গলবার এনসিবির দিল্লি হেডকোয়ার্টারে ভিজিলেন্স রিপোর্ট জমা দিয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাসে মাদকচক্রে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের নাম জড়িয়েছিল। বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজ থেকে আরিয়ান এবং তাঁর সঙ্গীদের আটক করা হয়েছিল। পরে গ্রেপ্তার করা হয় শাহরুখ পুত্রকে। প্রায় ২৬ দিন হাজতে থাকতে হয়েছে আরিয়ানকে। ছেলের এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শাহরুখ। সমস্ত শুটিং বাতিল করে ছেলেকে জামিনের জন্য মরিয়া হয়ে যান।

সূত্রের খবর অনুযায়ী রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আরিয়ান মামলার তদন্তের স্বার্থে নাকি প্রায় ৬৫ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছিল। যাঁদের মধ্যে কয়েকজন একাধিকবার নিজেদের বয়ান বদল করেছিলেন। তবে আরিয়ান মামলায় ব্ল্যাকমেল করে যে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল তা প্রমাণিত হয়নি বলেই খবর।

শেষে বম্বে হাই কোর্ট শাহরুখের জামিন মঞ্জুর করে। চলতি বছরের মে মাসে আরিয়ানকে ক্লিনচিট দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এনসিবির তরফ থেকে জানানো হয়, শাহরুখপুত্রর বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রমাণ মেলেনি। ইতিমধ্যেই আবার আরিয়ানের গ্রেপ্তারি ও মাদক মামলায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা সমীর ওয়াংখেড়েকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই মামলায় দায়িত্ব নেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর বিশেষ তদন্তকারী দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *