Bangla24x7 Desk : আগামী ৭ জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গা সাগর মেলা । এবার প্রতিবারের মত গঙ্গা সাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগর সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ দিনের গঙ্গাসাগর সফরে মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার হাওড়ার ডুমুরজোলা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাড থেকে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে রওনা দেয় মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। তারপরে গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাডে পৌঁছে , নবনির্মিত সেই হেলিপ্যাডের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারচুয়ালি উদ্বোধন করেন সুন্দরবন বিষয়ক দপ্তরের ৪০ মিটার দীর্ঘ কাকদ্বীপের কামারহাট সেতু। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি, কালীমন্দির, তারকেশ্বর, জহুরা কালী এবং তারাপীঠ – এই ৫টি মন্দিরের আদলে তৈরি নির্মাণের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
গঙ্গাসাগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার বাংলার প্রতি বঞ্চনা উসকে দিয়ে গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় ইস্যু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ , উত্তরপ্রদেশে কুম্ভ মেলার সব খরচ কেন্দ্র সরকার দেয়। আমাদের ১০ পয়সার বাতাসা দিয়ে কেউ সাহায্য করেনি। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। সবরকম পরিকাঠামো আছে। কেন্দ্র চাইলে এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করতে পারে।”
পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ , “মুড়িগঙ্গায় সেতুর প্রয়োজন। বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। সেতুটি হলে সাগর আসতে আর কাকদ্বীপ লটএইটে ভেসেলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কলকাতা থেকে সড়কপথে যুক্ত হবে কপিলমুনির আশ্রম। বাধ্য হয়ে চেষ্টা করছি নিজেদের মতো করে করার। ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ। প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেন্দ্র এই ব্রিজ তৈরির ব্যাপারে কোনও সাহায্য করেনি। আমরা আবারও অনুরোধ করব।”
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি , ‘‘কুম্ভমেলা সারা পৃথিবীতে এক বিরল মেলা। কুম্ভমেলায় আকাশ এবং রেলপথের যোগাযোগ দারুণ ভাল। গঙ্গাসাগর মেলা এই ধরনের একমাত্র মেলা যেটা জলপথ পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতি বছর যাতায়াত মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ নদী পার হন।’’ বিকেলে কপিল মুনির আশ্রম পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানে মন্দির চত্বরে আলোকসজ্জার উদ্বোধন করেন। সুষ্ঠুভাবে এই মেলার আয়োজন করার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। অস্থায়ী স্বাস্থ্য শিবির তৈরি করার পাশাপাশি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একাধিক হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জলপথে যাতে নজরদারি চালানো হয় , তার জন্য কোস্টাল পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।