Bangla24x7 Desk : আগামী ৩০ ডিসেম্বর, শুক্রবার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে কলকাতায় পা রাখবেন তিনি। ওইদিন প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা তিনি কাটাবেন এখানে। সদ্যই তার বঙ্গসফরের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে , ওই দিন প্রতি মুহূর্তেই ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সকাল ১০টা নাগাদ কলকাতায় আসছেন। আবার দুপুরেই ফিরে যাবেন দিল্লি। নজর রাখা যাক ৩০ ডিসেম্বর মোদির বঙ্গসফরের খুঁটিনাটির দিকে –
শুক্রবার সকাল ১০টায় দমদমের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। সেখান থেকে তিনি কপ্টারে চড়ে ১০.১৫ নাগাদ পৌঁছবেন আরসিটিসি হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে। এরপর গাড়ি চড়ে রওনা দেবেন হাওড়া স্টেশনের উদ্দেশে। সাড়ে ১০টায় হাওড়ায় শুরু হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা অনুষ্ঠান। আধঘণ্টার মধ্যে পতাকা উড়িয়ে নতুন ট্রেনের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় রেলব্যবস্থার ইতিহাসে লেখা হবে এক নয়া অধ্যায়।
আগামী শুক্রবার নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ অবশ্যই সেমি হাইস্পিড ট্রেন ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের’ সূচনা করা। ওইদিন হাওড়া থেকে ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেরদিন , ৩১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটি নিয়মিত চলবে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। সপ্তাহে ৬ দিন চলবে ট্রেনটি।
হাওড়ার অনুষ্ঠানে সেরে বেলা ১১টা নাগাদ গাড়িতে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী। যাবেন হেস্টিংসে, ভারতীয় নৌবাহিনীর স্টেশন, আইএনএস নেতাজিতে। ১১টা ১৫ নাগাদ সেখানে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করবেন। ঘুরে দেখবেন ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প। এরপর সাড়ে ১১টায় ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ঘুরে দেখবেন প্রদর্শনী। ১১টা ৩৫ নাগাদ শুরু হবে বৈঠক। তা চলবে প্রায় দেড়ঘণ্টা।
দুপুর ১টা ১০ নাগাদ বৈঠক শেষে আইএনএস নেতাজিতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১টা ৫৫এ হেস্টিংসে আইএনএস নেতাজি থেকে গাড়িতে করে আরসিটিসি হেলিপ্যাডের দিকে রওনা দেবেন। সেখান থেকে কপ্টারে চড়ে ২টো নাগাদ তিনি পৌঁছবেন দমদম বিমানবন্দরে। ২টো ১৫-র বিমানে চড়ে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি রওনা হবেন।