Bangla24x7 Desk : ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার বিশেষ পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। এখন থেকে আগেভাগেই ক্যানসার রোগী চিহ্নিত করা হবে।আসলে ভারতীয় মহিলারা সহসা শারীরিক সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে চান না। আর এটাই বড় ভুল। তাই রাজ্যের ২৭টি স্বাস্থ্যজেলার জেলা ও ব্লক হাসপাতালগুলির সঙ্গে কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ যুক্ত হয়ে একটি ক্যানসার পোর্টাল তৈরি করছে। স্বাস্থ্যভবন এর নাম দিয়েছে ‘ক্যানসার হাব’। মূল উদ্দেশ্য, শুরুতেই চিহ্নিতকরণ এবং পরীক্ষা করে ক্যানসারের ন্যূনতম লক্ষণ পেলেই রোগী অথবা রোগিনীকে সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শর জন্য পাঠানো হবে। শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে হাসপাতালগুলির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে।

তথ্য বলছে, শুধুমাত্র অবহেলার জন্য ১৬ শতাংশ মহিলা সারভাইক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন। যখন চিকিৎসকের কাছে আসেন, পরীক্ষা হয়। দেখা যায়, স্টেজ ফোর। আর কিছু করার নেই। শান্তিতে শেষ ক’টাদিন যাতে কাটাতে পারেন, তার জন্য যন্ত্রণা নিবারক ওষুধ বা প্যালিটিভ ট্রিটমেন্ট শুরু করতে হয়। শিশুদের মধ্যে ব্রেন ক্যানসার কম হলেও রক্তের ক্যানসার বা লিউকোমিয়া কিন্তু মারাত্মক। আবার ৪০-ঊর্ধ্ব মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসার ইউরোপের হারেই বাড়ছে। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অঙ্কোলজি বা রেডিওলজি বিভাগ। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের উপসর্গ বিভিন্ন।

কিন্তু শুরুতেই শরীরে কোনও অস্বাভাবিক তিল, আঁচিল অথবা কাশি, মলের সঙ্গে রক্ত অথবা প্রস্রাবের গতি রোধ করতে না পারা- এগুলিও অনেক ক্ষেত্রে ক্যানসারের লক্ষণ বলে মনে করা হয়। তাই শুরুতেই যদি রোগনির্ণয় করা যায়, তবে ক্যানসার রুখতে সমস্যা দূর হবে অনেকটা। রাজ্যে ক্যানসারের ওষুধ অঢেল, দরকার শুধুমাত্র স্ক্রিনিং করা বা চিহ্নিতকরণ। জেলাগুলিতে যে রোগী ক্যানসার আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হবেন, তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর পোর্টালে উঠে যাবে। কলকাতার সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। নতুন করে পরীক্ষা করে শুরু হবে চিকিৎসা। এদিনের বৈঠকে এই বিষয়গুলিই আলোচনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *