Bangla24x7 Desk : কল্যাণী এইমসের নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই দাবিতে হওয়া মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দেয়। যার অর্থ, আগের মতোই এই মামলার তদন্ত করবে সিআইডি।
কল্যাণী এইএমস দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সুজিত চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার মামলার রায়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এপর্যন্ত সিআইডির তদন্তে পক্ষপাত দুষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। বা সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার মতো কোনও ত্রুটি যুক্ত কারণও দেখাতে পারেনি আবেদনকারী। তাই এক্ষেত্রে সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিজেপির দুই সাংসদ এবং দুই বিধায়ক সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার , রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, চাকদহ বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, কল্যাণী এইমসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিং সহ মোট ৮ জনের। এঁদের মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। তাঁর মেয়ে মৈত্রী দানা কল্যাণী এইমসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা।
কিন্তু মৈত্রী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনি অংশ না নিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল মামলাকারীর। নিজের মেয়েকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। মামলাকারীর আরও অভিযোগ, মৈত্রীর নিয়োগে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের হাত রয়েছে। এছাড়া রাজ্যের কয়েকজন বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।