Bangla24x7 Desk : “উচ্ছেদ নয়, বিকল্প ভাবনা” – শুধু প্রশাসনিক প্রধান নয়, রাজ্যবাসীর অভিভাবকও বটে, বোঝালেন মমতা। হকার নিয়ে কড়া মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, আপাতত এক মাস বন্ধ উচ্ছেদ অভিযান। তবে যাদের ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ঠিকানা নিয়ে সার্ভে করবে পুলিশ। তাঁরা যদি রাজ্যের লোক হয়, সত্যি যদি গরিব হয়, তাহলে তাঁদের জন্য অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এই জন্য একটা কমিটিও গড়ে দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ এবং মলয় মজুমদার (জঞ্জাল বিভাগের মেয়র পারিষদ)। পুলিশ থেকে কমিশনারদেরও এই কমিটিতে রাখা হবে। তাঁদের সার্ভের পাশাপাশি সমান্তরাল সার্ভে করবে হকার কমিটিগুলিও। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্ভে হবে মূলত হাতিবাগান, কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে, গ্র্যান্ড হোটেল চত্বর, নিউ মার্কেট সহ মোট পাঁচটি এলাকায়।
মমতা জানান, এক একজন হকারকে একটাই ডালা দেওয়া হবে। স্টলের পাশে গোডাউন করার অধিকার নেই। বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া হবে না। হকারদের নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। হকারদের পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে। গ্র্যান্ড চত্বরে হকার বসা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, “গ্র্যান্ড হোটেলে বহু ভিআইপি, তারকারা আসেন। সেনসিটিভ জায়গা। সিকিউরিটির ব্যাপার আছে। তারপর ওখানে কিছু একটা ঘটিয়ে দিয়ে এনআইএ দিয়ে দেবে। এটা হতে দেব না।” অন্যদিকে , বেআইনি পার্কিং ইস্যুতে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে জায়গায় বেআইনি পার্কিং লট রয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ তাঁর। পার্কিং সমস্যা মেটাতে আলিপুরের ‘সম্পন্ন’র মতো বেশ কয়েকটি পার্কিং জোন তৈরির ভাবনাচিন্তা মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতা, রাজারহাট, হাওড়া, আসানসোল, দুর্গাপুরে যেখানে পার্কিং হচ্ছে, সেখানে আদৌ পার্কিংয়ের উপযুক্ত জায়গা রয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। যদি পার্কিং করা সম্ভব হয় তবে সেন্ট্রাল টেন্ডার হবে। মেয়র নিজে কাজ খতিয়ে দেখবেন। ৫ জনের কমিটি তৈরি করে দিয়েছি। তাঁরাই দেখে রিপোর্ট দেবেন। পুলিশ কমিশনারেটকেও সঙ্গে রাখতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।