Bangla24x7 Desk : বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। মাছ মন্তব্য বিতর্ক কলকাতা হাই কোর্টে ‘রক্ষাকবচ’ পেলেন বিজেপি সাংসদ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, এখনই পরেশকে গ্রেফতার করা যাবে না। ভারচুয়ালি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। বাঙালিদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মন্তব্য় করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। সেই মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁকে হাজিরা দিতে নোটিস পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে এবার আদালতের দ্বারস্থ হন পরেশ রাওয়াল।
প্রসঙ্গত, ‘মেছো মন্তব্যের’ জেরে তালতলা থানায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে পরেশকে তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। এর বিরুদ্ধে ডিসেম্বরের গোড়ায় হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি।পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিজেপিও ওই মন্তব্য থেকে নিঃশব্দে দূরত্ব তৈরি করে। বিপাকে পড়ে প্রাক্তন সাংসদ ক্ষমাও চান। কিন্তু তারই মধ্যেই পরেশের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ জমা পড়ে।
গুজরাতে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির একটি প্রচারসভায় পরেশ বলেছিলেন, ‘‘মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন , তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন ? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?’’ এর পর পরেশের ওই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে পরেশের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানান, “আমার মক্কেল (পরেশ রাওয়াল) কাউকে অপমান করতে মন্তব্য করেননি। গুজরাটের ছোট জায়গায় এই র্যালি ছিল। কোনও সংবাদমাধ্যমও সেখানে উপস্থিত ছিল না। দুজন টুইট করে এটা ছড়ায়।”
তিনি আরও জানান, তাঁর মক্কেল পরেশ রাওয়াল ইতিমধ্যেই ক্ষমাও চেয়েছেন। আইনজীবীর প্রশ্ন,”মামলাকারী গুজরাটি বোঝেন না। কী হিসেবে এই মন্তব্য, সেটা কীভাবে বুঝলেন ?” অভিযোগকারী মহম্মদ সেলিমের আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চায় , উনি তো ক্ষমা চেয়েছেন আর কি কিছু প্রয়োজন আছে ? পরেশ রাওয়াল ক্ষমা চাওয়ার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর কী বক্তব্য, তা এদিন জানাতে পারেননি সেলিমের আইনজীবী সামিম আহমেদ। তিনি বলেন, ”আমার কাছে কোনও ইনস্ট্রাকশন নেই। এই মাত্র মামলার কপি হাতে পেয়েছি।” তার জবাবের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, ইনস্ট্রাকশন নিয়ে আসবেন। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।