Bangla24x7 Desk : অন্তঃসত্ত্বা বধূকে লাথি মেরে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি। মৃতার স্বামীর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যরা।

জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পুজা সরকার। নৈহাটির বাসুদেবপুর থানা এলাকার মামুদপুরের যুবক বিধান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তরুণীর উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, এমনটাই অভিযোগ বাপের বাড়ির। শত অশান্তি সত্ত্বেও স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলেন পূজা। মাস পাঁচেক আগে অন্তঃসত্ত্বা হন বধূ।

অভিযোগ, পূজা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। মারধরের পাশাপাশি বাপের বাড়ি থেকে টাকাপয়সা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই অত্যাচারই কিছুদিন আগে চরমে ওঠে। লাথির ঘটনার পরই পূজার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ওই অবস্থাতেই কোনওক্রমে বাপের বাড়ি যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়ি ফেরেন পূজা।

কিন্তু ফের শুরু হয় রক্তক্ষরণ। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বধূ। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা দায়ের করেন পরিবারের বাপের বাড়ির সদস্যরা। তবে সূত্রের খবর, বধূর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পলাতক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *