Bangla24x7 Desk : না ফেরার দেশে’ চলে গেলেন লাল পাহাড়ির দেশে যা গানের বিখ্যাত গায়ক সুভাষ চক্রবর্তী। শনিবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিশিষ্ট লোকশিল্পী সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শুধু তাঁর গ্রাম বেলিয়াতোড় নয়, গোটা বাংলার সঙ্গীতজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সুর শুনলেই গুনগুনিয়ে ওঠেন। তবে এই সুর বাঁকুড়ার মাটি থেকে গোটা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়ার কাণ্ডারি আর নেই। শনিবার প্রয়াত হয়েছেন বাঁকুড়ার বিখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুরাগীদের শেষ শ্রদ্ধার জন্য আজ বিকেল থেকে রবীন্দ্রসদনে শায়িত থাকবে তাঁর মৃতদেহ।

লোকসংগীতের জগতে একটা নাম হয়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রচুর গান লিখেছেন, সুরারোপ করেছেন, গেয়েছেন। তাঁর সুরারোপিত ‘লাল পাহাড়ির দ্যাশে যা’ গানটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল৷ ‘বাঁকুড়া মাটিকে পেণাম করি দিনে দুপুরে’-সহ একাধিক জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা লালমাটির এই ভূমিপুত্র। সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে সঙ্গীতজগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, “বিশিষ্ট লোকসঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা সুভাষবাবু ঐতিহ্যময় লোকসংগীতকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর সৃষ্ট কিছু অবিস্মরণীয় লোকগান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তাঁর প্রয়াণে সঙ্গীতজগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি সুভাষ চক্রবর্তীর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

জন্মসূত্রে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা সুভাষ চক্রবর্তী বর্তমানে কলকাতাতেই থাকতেন। সম্প্রতি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী। চিকিৎসা চলাকালীনই এদিন বেলা ১২টা নাগাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শিল্পীর মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ে তথা বিখ্যাত লোকশিল্পী অর্পিতা চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে খবরটি পোস্ট করে লেখেন ‘শেষ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *