Bangla24x7 Desk : কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, সিটের কয়েকজন সদস্য ঠিকমতো কাজ করছেন না। প্রয়োজনে ওই সদস্যদের পরিবর্তন করার কথাও বললেন তিনি। সোমবার দুপুর আড়াইটেয় মামলার শুনানি।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । তারপর একে একে মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসপি সিনহা, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েটরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। সম্প্রতি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। তারই মধ্যে রমেশ মালি, লক্ষ্মী তুঙ্গা, সৌমেন নন্দীর আনা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে সেই মামলা ফেরত এসেছে হাই কোর্টে। ওই মামলা গুলির শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আইনজীবীদের খোঁজ করেন বিচারপতি। কিন্তু সিবিআইয়ের তরফে কোনও তদন্তকারী অফিসার উপস্থিত না থাকায় তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।
তিনি বলেন, “সিবিআইয়ের একজন নেই! জনসমক্ষে আমি তাঁদের কিছু প্রশ্ন করতে চাই।” কেন তাঁরা এলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিবিআই আধিকারিকদের এজলাসে উপস্থিতি নিয়ে আদালতকে আশ্বস্ত করেন কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্লোদল ভট্টাচার্য। তবে সোমবার মামলার শুনানির শুরুতে আরও একবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সিটের কয়েকজন সদস্য ঠিকমতো কাজ করছেন না। প্রয়োজনে ওই সদস্যদের পরিবর্তন করতে হবে।
মামলায় আর কোন গুরত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে কিনা বা তদন্ত কতটা এগিয়েছে তা সিবিআইকে আদালতে জানাতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই এবং ইডি’র হেফাজতে থাকা ৬ ব্যক্তি ছাড়া আর কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির যুক্ত থাকার সন্ধান কি সিবিআই পেয়েছে ? তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ? হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা কি তদন্তে সহযোগিতা করছেন ? তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম কি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা বলেছেন? এমনই নানা তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট সিবিআইকে হাই কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতির।