Bangla24x7 Desk : ন্যূনতম মূল্যবোধ থাকলে ইস্তফা দিন। কাঁথি, তমলুকে উপনির্বাচন হোক। ক্ষমতা থাকলে বিজেপির টিকিটে জিতে আসুন। শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সাফ কথা, তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসে বিজেপির সঙ্গে ‘কানামাছি খেলা’ বরদাস্ত করা হবে না।
সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বললেন, “আপনাদের যদি ন্যূনতম মূল্যবোধ থাকত, তাহলে বিজেপির মঞ্চে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিয়ে আসতেন। তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসে বিজেপির সঙ্গে কানামাছি ভোঁ ভোঁ! এসব চলবে না। সাহস থাকলে ইস্তফা দিন। কাঁথি এবং তমলুকে উপনির্বাচন হোক। ক্ষমতা থাকলে উপনির্বাচনে জিতে আসুন। মেদিনীপুরের মানুষের উপর যদি ভরসা থাকে তাহলে উপনির্বাচনে জিতে আসুন।”
বস্তুত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসেন। তখনও গোটা অধিকারী পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিবির বদল করেন তিনি। শুভেন্দু অমিত শাহর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলেও অধিকারী পরিবারের এই দুই সাংসদকে বিজেপির মঞ্চে দেখা গিয়েছে।
শিশির অধিকারীকে একাধিকবার প্রকাশ্যেই তৃণমূলের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। বিধানসভা ভোটে কার্যত গোটা অধিকারী পরিবার বিজেপির হয়ে প্রচার করেছে। দলের হুইপ না মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দিল্লিতে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন দুই সাংসদ। অথচ শিশির বা দিব্যেন্দু কেউই ইস্তফা দেননি।