Bangla24x7 Desk : কাঁধে মারাত্মক ব্যথা ? শক্ত হয়ে থাকে সারাক্ষণ ! ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ থেকে মুক্তির কি উপায় ? সাধারণ পেইনকিলার খেয়ে কিংবা জেল লাগিয়ে ব্যথা থেকে মুক্তি মেলে না। বাহু ও কাঁধ যে অস্থিসন্ধি দ্বারা সংযুক্ত থাকে, সেখানে হাড় ও লিগামেন্ট ও টেনডনগুলোও টিস্যু দ্বারা আবৃত থাকে। এই টিস্যু ফুলে গেলে কিংবা শক্ত হয়ে গেলেই ফ্রোজেন শোল্ডারের যন্ত্রণা বাড়ে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘অ্যাডেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’ বলা হয়। মূলত, এই রোগে আক্রান্ত হলে ঘাড় ও কাঁধের পেশি ও অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
ফ্রোজেন শোল্ডার থেকে মুক্তির উপায় : ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে কিংবা মলম লাগিয়ে খুব বেশি উপকার মেলে না ফ্রোজেন শোল্ডার থেকে। একটা সময়ের পর এই ব্যথা নিজেকে থেকেই কমে যায়। তবে, অনেক সময় স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ারও পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। দেওয়া হয় ইনজেকশনও। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি ফ্রোজেন শোল্ডারের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে পারবেন।
কাঁদের ঝুঁকি বেশি : পুরুষ ও মহিলা উভয়েই ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যায় ভুগতে পারেন। তবে, মহিলারা যেহেতু হাড়ের সমস্যায় বেশি ভোগেন, ফ্রোজেন শোল্ডারের ঝুঁকিও তাঁদের একটু বেশিই। মূলত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের ফ্রোজেন শোল্ডার দেখা যায়।
ফ্রোজেন শোল্ডারের উপসর্গ : প্রাথমিক অবস্থা অনেকেই বাতের ব্যথা কিংবা চোট লেগে আঘাত পেয়েছেন, এটা ভেবেই এড়িয়ে যান। প্রথম দিকে কাঁধে শুধু ব্যথা শুরু হয়। তখন হাত নাড়াতেও কষ্ট হয়। তারপর ব্যথা একটু কমলেও হাত শক্ত হয়ে যায়, নাড়ানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকেই ফ্রোজেন শোল্ডারের যন্ত্রণায় মারাত্মক কষ্ট পান।