Bangla24x7 Desk : আরজি করে সংস্কারের নির্দেশ সই , নথি প্রকাশ্যে ! চরম বিপদে সন্দীপ ঘোষ। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঠিক পরের দিনই দেওয়া হয়েছিল ওই নির্দেশ। দাবি করা হচ্ছে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা। নির্যাতিতার মৃত্যুর ঠিক পরের দিন। জরুরি ভিত্তিতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগে ডক্টরস’ রুম এবং লাগোয়া শৌচালয় মেরামত ও সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হলে ৯ অগস্ট মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পর ১২ ই অগস্ট সেই চতুর্থ তলেই সংস্কারের কাজ চলছিল।
আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার বলছিলেন, ‘আমাদের বোনটা কিন্তু ন্যায় বিচার পায়নি।’ তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার নজর ঘোরানো যাবে না। কেন ঘটনার পর সেমিনার হল চত্বর সংস্কারের জন্য ভাঙচুর করা হয়েছিল ? কারণ, এই সেমিনার হল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তিলোত্তমার নিথর দেহ। তাহলে কি তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল কোনও ভাবে ? ১০ ই অগাস্ট প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, তার শেষ অনুচ্ছেদে দেখা যাচ্ছে সন্দীপ ঘোষ পূর্ত বিভাগের সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের উপস্থিতিতে বিষয়টি ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। অতএব আপনারা দ্রুত কাজ শুরু করুন। আপনাদের চিন্তার কারণ নেই।’
সেই নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার নাম উল্লেখ থাকায় নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য ভবন। আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন,”ঘটনাটি ঘটার পর থেকে ধামাচাপা দেওয়ার যে চেষ্টা , তথ্য প্রমাণ লোপাটের যে চেষ্টা , সন্দীপ ঘোষ সহ পুরো সিন্ডিকেট। যে নাম গুলো সামনে আসছে, তাঁরা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত। আমরা প্রথম থেকে দাবি করেছিলাম, কলেজ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য, গত ৮ ই আগস্ট , নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কলকাতা পুলিশের সিট এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।