Bangla24x7 Desk : Suprime Court : দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না , ১০ নভেম্বর অবসর চন্দ্রচূড়ের। আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। নিয়ম অনুযায়ী, অবসরের আগে প্রধান বিচারপতি তাঁর উত্তরসূরিকে মনোনীত করেন। সেই সুপারিশে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতোই দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম প্রস্তাব করেছেন। এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে তিনিই রয়েছেন দু’নম্বরে। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি পদে কাজ করছেন সঞ্জীব খান্না।
১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন বিচারপতি খান্না। প্রাথমিকভাবে তিনি প্র্যাকটিস শুরু করেন দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে। কিছুদিন পরই তিনি প্র্যাকটিস শুরু করেন দিল্লি হাই কোর্টে। এর মধ্যে আয়কর বিভাগ এবং দিল্লি সরকারের আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন। ২০০৫ সালে দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন বিচারপতি খান্না। ২০০৬ সালে দিল্লি হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত হন বিচারপতি খান্না। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার আগে কোনও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজ করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি পদে বিচারপতি খান্নার নাম সুপারিশ করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হবেন বিচারপতি খান্না। ২০২৫ সালের ১৩ মে অবসর নেবেন তিনি।
Suprime Court : দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না , ১০ নভেম্বর অবসর চন্দ্রচূড়ের
Read More : TATA Group : আগামী ৫ বছরে নির্মাণ ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগ , ঘোষণা সংস্থার শীর্ষকর্তার
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে পাঁচ বছরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি খান্না। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ছাড়পত্র দেওয়া। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছিল সেটা খারিজ করা। নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক ঘোষণা। ইভিএমের সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখার মামলা খারিজ করা। প্রধান বিচারপতির দপ্তরকে RTI-এর অধীনে আনার নির্দেশ দেওয়া। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ১৯৮৩ সালে দিল্লির বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন। এরপর তিস হাজারী কমপ্লেক্সের জেলা আদালতে অনুশীলন করেন। বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। এই পাঁচ বছরে শীর্ষ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রায় দিয়েছে তাঁর বেঞ্চ।