Bangla24x7 Desk : গঙ্গা আরতির টানে প্রতি বছর বারাণসী ছুটে যান বহু মানুষ। এবার সেই ঐতিহ্যের ছোঁয়া মিলতে চলেছে কলকাতাতেও। প্রতি সন্ধেয় আরতি দেখার টানে গঙ্গার পাড়ে ভিড় জমাবে সাধারণ মানুষ। এমনটাই চান মুখ্যমন্ত্রী। এ শহরে গঙ্গা আরতি চালু করতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সোমবারের পর্যালোচনা বৈঠক থেকে কলকাতা পুরসভাকে এবিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন তিনি। কোথায় কোথায় গঙ্গারতি চালু করা যায়, তার জন্য জায়গা খোঁজার ভার দেওয়া হয়েছে পুরসভাকে।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কলকাতার গঙ্গার ঘাটে গঙ্গারতির ব্যবস্থা করতে হবে। তবে মানুষ যাতে জলে না পড়ে যায়, সেদিকে নজর রাখার পরামর্শ দেন তিনি। এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। ২ বছর সময় লাগে লাগুক। তবে ব্যবস্থাটা যেন নিরাপদ হয়।” উল্লেখ্য, বারাণসীর গঙ্গার ঘাটে গঙ্গারতি দেখতে ছুটে যান বহু মানুষ। রীতিমতো ভিড় জমিয়ে প্রতি সন্ধেয় তাঁরা এই ঐতিহ্যের স্বাদ নেন। বহুদিন ধরেই কলকাতায়ও গঙ্গারতি চালুর ভাবনাচিন্তা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সে কথা আরও একবার শোনা গেল তাঁর গলায়। গঙ্গার পাড়ে বহু মন্দির রয়েছে, সেখানে বসে আরতি দেখা যেতে পারে। এমন জায়গা খুঁজে বের করতে হবে কলকাতা পুরসভাকে।

রাজ্যের ক্ষমতার পালাবদলের পরই গঙ্গার দু’পাশ নতুনভাবে সেজে উঠেছিল। আর এই সৌন্দর্যায়নের নেপথ্যে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও সেই সৌন্দর্যয়ান নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে প্রিন্সেপ ঘাটের কোথাও কোথাও ভেঙেচুরে গিয়েছে। রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া থেকে নবান্ন আসার রাস্তার বেহাল দশা। কেউ সাফাইও করে না বলে অভিযোগ ক্ষুব্ধ মমতার। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘সবকিছু আমাকে বলে দিতে হবে? ওই পথ দিয়ে যারা আসা-যাওয়া করে, তাঁরা রাস্তা দেখে না?’ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতা পুরসভার কাজ নিয়েও। গঙ্গার ঘাটের সাফাইয়ে জোর দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *