Bangla24x7 Desk : রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘সখ্যতা’ পর্বের ইতি ! আড়ালে কি অন্যরকম বড়সড় তৎপরতা চলছে রাজভবনে ? বাংলা শেখার ইচ্ছা থেকে শুরু করে হাতে খড়ি পর্ব – সবই এখন অতীত। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাথে আনন্দ সাক্ষাতের পরই বদলে গেছে রাজভবনের পদক্ষেপ। দিল্লির সূত্র বলছে, এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। রাজ্যপাল মনে করলে চাইতেই পারেন। তবে রাজ্যকে জানানো একটা রীতি, যেটা পরে বিষয়টি আরেকটু এগোলেও জানানো যেতে পারে।
দিল্লির সূত্রটি বলছে, কলকাতার রাজভবনে এমন কিছু ব্যক্তিকে পরামর্শদাতা বা এই ধরনের পদে আনা হচ্ছে যা শ্যাডো-অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নামান্তর। এর মধ্যে নাম আসছে প্রাক্তন সিবিআইকর্তা রাকেশ আস্থানার। তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার পতনের পর যে আইএএস কার্যত সবটা সামলাতেন, তাঁকেও আনা হচ্ছে। কেরল থেকে একাধিক বিভাগের একাধিক অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে আনা হচ্ছে। এই গোটা প্রক্রিয়া করছেন রাজ্যপাল স্বয়ং, দিল্লির অনুমোদনে। এমনকী, রাজভবনের সচিবালয়তেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করার নির্দেশ আছে। এ বিষয়ে যে নামের তালিকা জানা যাচ্ছে, তা যেন এক সমান্তরাল মন্ত্রিসভা। প্রশ্ন হল রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে এই ধরনের কোনও পরামর্শদাতা কমিটি বা বোর্ড গঠন করতে পারেন কি না।
প্রশ্ন হল, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি ধরে ধরে রাজ্যপাল এমন সব অভিজ্ঞ লোক আনতে চান কেন? এটা কি তিনি নিজে করছেন, না কি দিল্লির নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনার প্রস্তুতি? এই প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট উত্তর সূত্রটি দিতে পারেনি। তবে যা হচ্ছে তাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদন আছে, তাতে সন্দেহ নেই। এই সূত্রটিই আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে। সেটি হল, অমিত শাহ সরাসরি এই প্রক্রিয়ায় নেই। এক অতি শীর্ষস্থানীয় অফিসার সম্ভবত গোটা বিষয়টি জানেন। এই সূত্রের যা ইঙ্গিত, তাতে বাংলার রাজভবনকে কেন্দ্র করে দিল্লির আগামী দিন বড় পরিকল্পনা আছে। রাজ্য বিজেপির নেতাদেরও তাঁরা সেটা জানাতে চান না। তাহলে জনভিত্তিহীন অযোগ্য নেতারা সবজান্তা ভাব দেখাতে আগাম বড় বড় কথা বলে তাঁদের অঙ্ক চৌপাট করে দেবেন।