Bangla24x7 Desk : শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ যে বাংলার নতুন প্রজন্মের উপর কোনও প্রভাব ফেলেনি, দলের তরফে তা প্রমাণের দায়িত্ব নিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বস্তুত এই কারণে ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসকে সামনে রেখে ২৯ আগস্ট গান্ধীমূর্তিতে লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী সমাবেশের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই প্রথম ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে কর্পোরেট ধাঁচে স্বেচ্ছাসেবক পোস্টিং, কার পার্কিং এবং জেলার সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য বিশেষ টিম রাখছেন ছাত্রনেতারা।
শনিবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে তার জন্য বিশেষ গ্রুপ মিটিং করবে নেতৃত্ব। থাকবেন দুই প্রাক্তন ছাত্রনেতা তাপস রায় ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর কথায়, “চব্বিশতম বর্ষে লক্ষ্য চব্বিশ– এটাই আমাদের এবারের সভার মূল আঙ্গিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে সকলে মুখিয়ে রয়েছেন। আমরা এই ছাত্র সমাবেশকে ঐতিহাসিক চেহারা দেব।”
সার্থকের কথায়, “কোচবিহার থেকে যে সংখ্যক প্রতিনিধি আসবে ভেবেছিলাম তার দ্বিগুণেরও বেশি শহরে আসছে। প্রতি জেলা থেকেই টার্গেটের চেয়েও অনেক বেশি নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে আসছেন।” সভায় একাধিক চমক থাকছে। একেবারে সামনে একটি শৃঙ্খলায় পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রীকে বসানো হবে। তাঁদের মাথায় থাকবে তিন রঙের টুপি। প্রথম ভাগে বসবেন গেরুয়া টুপিধারীরা, পরের ধাপে সাদা, তার পরের ধাপে সবুজ। জাতীয় পতাকার রং ফুটিয়ে তোলা হবে। নির্দিষ্ট কিছু গান তৈরি করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সেসব গাইবেন।
২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের মতোই এবারও দলের ছাত্র শাখার সভাতেও উত্তরবঙ্গকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য যে কোনও বছরের তুলনায় এবার রেকর্ড সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আসছে উত্তরের জেলাগুলি থেকে। আজই তাদের একাংশের কলকাতায় পা রাখার কথা।