Bangla24x7 Desk : বীরভূমের মাটিতে আবারও ফিরেছে বগটুইয়ের স্মৃতি। আবারো মর্মান্তিক মৃত্যু। এবার আগুনে ঝলসে মৃত্যু মা ছেলের। ভাবুন একবার ! কি মর্মান্তিক ঘটনা ! ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনের গ্রাসে গোটা শরীরটাই আর ওদিকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাবা। তবে কি কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ? বিস্ফোরণ না অন্য কিছু ? জানা যাচ্ছে , রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারের তিন জনকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানার রায়পুর সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রজতপুর গ্রামে। শুক্রবার সকালে গ্রামে যান বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি জানান, এই পরিবারটি তাঁদের কাছের আত্মীয়। কী কারণে খুন করা হয়েছে তা তদন্ত হবে উচ্চপর্যায়ে। দোষীরা জেলে যাবেই। তবে কাজল এই ঘটনাকে বগটুইয়ের সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ। কিন্তু কেন এই ঘটনা? পুরনো শত্রুতা নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
স্থানীয় সূত্রে খবর , রজতপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের শেখ তোতা , বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়া করে স্ত্রী রুপা বিবি ও ছোট পুত্র বছর চারেকের আয়ান শেখকে নিয়ে একতলা বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, গরমের রাত। জানলা খোলা। তবে রাতের আঁধারে বাড়ির জানলা খুলে ঘুমানোর চরম মূল্য দিলেন তাঁরা। রাতের অন্ধকারের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ বা কারা জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালায়। তাঁদের চিৎকারে উঠে আসে পাশের ঘরে শুয়ে থাকা বড় ছেলে শেখ রাজ। তার চেঁচামেচিতে উঠে আসেন প্রতিবেশীরা।
গুরুতর জখম তিনজনকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপরেই তাঁদেরকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর প্রথমে ছোটো ছেলে আয়ানের মৃত্যু ঘটে। ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই মা রুপার মৃত্যু হয় বলে গ্রামবাসীদের সূত্রে খবর। যদিও এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাবা শেখ তোতা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটানায় গতকাল গভীর রাতেই ঘটনাস্থলে যায় বোলপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এলাকায় মর্মান্তিক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকালেও এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বোলপুর থানার পুলিশ।