Bangla24x7 Desk : রাজ্যভাগের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই অভিযোগে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেই প্রস্তাব আনছে রাজ্য সরকার। এমনটাই খবর তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে আলাদা রাজ্যের দাবিতে ইতিউতি মন্তব্য করে চলেছেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক। পাহাড়েও নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠছে। বিজেপির বিরুদ্ধে কেএলও’র মতো সংগঠনগুলিকেও উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এসব কিছুকেই বাংলাভাগের ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে রাজ্য সরকার। বাজেট অধিবেশনেই সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হচ্ছে বলে খবর।
১৩ ফেব্রুয়ারি এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে বিধানসভায়। প্রস্তাবটি সম্ভবত পেশ করতে চলেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এর সঙ্গেই আদিবাসীদের সারি এবং সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটি আলোচনাতে অংশ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দুটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। বিজেপি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে , বঙ্গভঙ্গ নিয়ে রাজ্যের পরিষদীয় বিজেপি দলের কোনও অবস্থান নেই। যে বিধায়করা এই দাবি করছে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
রাজ্যপালের ভাষণের মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে অধিবেশন। দুপুর ২টোয় ভাষণ দেবেন সি ভি আনন্দ বোস। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল হয়ে আসার পর এই প্রথম অধিবেশনে সরকার পক্ষের মুখোমুখি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল নিজের ভাষণ পুরোপুরি পাঠ করতে চান বলে জানিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী সবটা হওয়ার কথা। বিজেপির তরফ থেকে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সরকারি তরফ থেকে কোনওরকম গোলমাল যাতে না করা হয়, হাউস চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে শাসক দলের বিধায়কদের। মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ডাকা হয় কার্যোপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। কিন্তু বিজেপির কোনও প্রতিনিধি এদিনের বৈঠকে ছিলেন না। ফলে অধিবেশন নিয়ে যাবতীয় আলোচনা কার্যত একতরফাভাবেই চূড়ান্ত হল শাসকদলের উপস্থিতিতে।