Bangla24x7 Desk :  ৭৬ হাজার বুথ, পাঁচ হাজারের বেশি অঞ্চল রয়েছে। এছাড়া, প্রশাসনিক ব্লক অনুযায়ী ব্লক সমিতি। কিন্তু সামনেই যখন পঞ্চায়েত ভোট তখন সব ব্লক সমিতি গঠিতই হয়নি। ফেব্রুয়ারিতে যখন পঞ্চায়েত ভোট হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করেছে গেরুয়া শিবির তখন সংগঠনের এই হাল নিয়ে সরব দলের বিক্ষুব্ধ শিবির। বুথ সশক্তিকরণের কাজে দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস‌্য মিঠুন চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি।

গত জুলাই মাসে দলীয় বৈঠকে রাজ‌্য বিজেপির তরফে বলে দেওয়া হয় যে, বুথ সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট মিঠুনকে করতে হবে। এরপরই অবশ‌্য মিঠুনকে বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে।  গেরুয়া নেতারা দাবি করছেন, ভোট লড়াইয়ে তাঁরা প্রস্তুত। কিন্তু বিজেপির দলীয় সার্কুলার বলছে অন‌্য কথা। ব্লকে যে সংগঠন নেই সেটা প্রমাণ হয়ে গেল রাজ‌্য বিজেপির পঞ্চায়েত প্রস্তুতি নিয়ে ৯ দফার নির্দেশিকাতেই। সেখানে প্রথমেই বলা হয়েছে, ব্লক ও অঞ্চল সমিতির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ থেকে দশজনের বুথ কমিটি গঠনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে। সিংহভাগ বুথেই সক্রিয় কমিটি নেই বলে দলীয় সূত্রে খবর। বাংলায় বিজেপি সংগঠন নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতাই নেই মিঠুন চক্রবর্তীর। তিনি বুথের কী বুঝবেন? চার মাস কেটে যাওয়ার পর পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের মিঠুনকে মাঠে নামাতে হচ্ছে বিজেপিকে। গেরুয়া শিবিরের একাংশের মতে , বুথস্তরে দলের সংগঠন তলানিতে তখন মিঠুনকে নামিয়ে পঞ্চায়েতে গেরুয়া পালে হাওয়া তুলতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও , শাসক শিবিরের কটাক্ষ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাতে কোনও লাভ হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *