Bangla24x7 Desk : ১০ দিনে মোট ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার খোয়ালো গৌতম আদানির মালিকাধীন আদানি গোষ্ঠী। সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহে আদানিদের ক্ষতির পরিমাণ আকাশছোঁয়া। ১০ দিনে নিজের মোট সম্পদের ৫০ শতাংশেরও বেশি খুইয়েছেন আদানিরা।
বাণিজ্য এবং অর্থনীতি বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ফরচুন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার আগে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার মোট সম্পত্তি ছিল ২১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। ১০ দিনে ঠেকেছে ৯ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে। বিশ্বের সব থেকে ধনীদের তালিকায় ২২ নম্বরে রয়েছেন।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে কার্যত ধস নেমেছে আদানি গোষ্ঠীর ১০টি সংস্থার শেয়ারে। হিন্ডেনবার্গ দাবি করেছে, এক দশক ধরে শেয়ারের দরে কারচুপি করে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। হিন্ডেনবার্গের সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে আদানি গোষ্ঠী।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের প্রথম ৯ দিনের হিসাব অনুযায়ী শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ‘আদানি টোটাল গ্যাস’। সেই সংস্থার শেয়ার দর কমেছে ৫১ শতাংশ। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘আদানি এন্টারপ্রাইসেস’-এর শেয়ারের দাম ৩৮ শতাংশ কমেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা। ‘আদানি ট্রান্সমিশন’ ক্ষতির নিরিখে তৃতীয় স্থানে। গত ৯ দিনে শেয়ারের দাম ৩৭ শতাংশ কমেছে এই সংস্থার। প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি।
‘আদানি গ্রিন এনার্জি’র শেয়ারের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ। শেষ ৯ দিনে ‘আদানি পোর্টস অ্যান্ড সেজ’-এর শেয়ার পড়েছে ৩৫ শতাংশ। ‘আদানি পাওয়ার’-এর ক্ষতির পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকার কিছু বেশি। রয়েছে ‘অম্বুজা সিমেন্টস’ এবং ‘আদানি উইলমার’-ও। ২৪ জানুয়ারির পর থেকে ‘অম্বুজা সিমেন্টস’-এর শেয়ারের দাম প্রায় ৩৩ শতাংশ কমেছে। ‘আদানি উইলমার’-এর শেয়ারে পতন হয়েছে ২৩ শতাংশ।
শেয়ারে ক্ষতির মুখে আদানিদের সদ্য মালিকানা পাওয়া সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। শেষ ৯ দিনে তাদের শেয়ারের দাম ১৭ শতাংশ কমেছে। গত বছরের অগস্ট মাস নাগাদ ব্যবসায় পাল্লা দিয়ে মুকেশ অম্বানীকে টপকে দেশের সব থেকে ধনী ব্যক্তির তকমা পেয়েছিলেন গৌতম। গত বুধবার বুধবার চলতি অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনেই নতুন শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া (এফপিও) বাতিল করে দেয় আদানি গোষ্ঠী। ২০ হাজার কোটি টাকার ওই এফপিও বাতিলের পর আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর আরও নেমে গিয়েছে।