Tourism : চাই পর্যটনের রসনাতৃপ্তি ! স্বাগত জানাবে রয়্যাল বেঙ্গল ! শীতের আমেজে হাতছানি ডায়মন্ড হারবারের

Bangla24x7 Desk : Tourism : চাই পর্যটনের রসনাতৃপ্তি ! স্বাগত জানাবে রয়্যাল বেঙ্গল ! শীতের আমেজে হাতছানি ডায়মন্ড হারবারের। বেড়ানোর ইচ্ছা বাঙালীর অন্তরে অন্তরে। প্রখর গ্রীষ্মের উত্তাপ বা হাড় কাঁপানো শীত – কোন কিছুই কাবু করতে পারে না বাঙালীর ভ্রমণপ্রিয় রসনাকে। বছর প্রায় শেষ। চলছে ডিসেম্বরের অন্তিম সময়। উৎসবের মরশুমে চলছে ক্রিসমাস স্পেশাল উইক। এমন মরশুমে কি কাজে মন বসে ? তাই তো একদিনের জন্য হলেও কাজকে টাটা বাই বাই করে পরিবার-পরিজন অথবা বন্ধুদের হাত ধরে বেরিয়ে পড়ুন।

প্রশ্ন হল , যাবেন কোথায় ? চলে আসুন ডায়মন্ড হারবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার হুগলি নদীর তীরে ডায়মন্ড হারবার আধুনিক ভারতের ইতিহাসে এক বিশেষ প্রসিদ্ধ স্থান। অঞ্চলের পূর্বতন নাম ছিল হাজিপুর। অঞ্চলটি এক সময়ে বন্দর শহর হিসেবে পরিচিতি ছিল। তবে বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার অর্থাৎ Gateway Of Sundarbane বলেই পরিচিত। ব্যস্ততম ডায়মন্ড হারবার শহরের বুকেই আপনার নজর করবে বিশালাকৃতি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। যা কিনা শহরের ওপরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। না না ! আসল নয় ! যেহেতু  সুন্দরবন , সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসাবে ডায়মন্ড হারবারে আপনাকে স্বাগত জানাবে হিংস্র রয়েল বেঙ্গল।

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ডায়মন্ড হারবার আজ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। যেখানে একদিকে রয়েছে ঐতিহাসিক পুরনো কেল্লার মাঠ। অনতিদূরে বয়ে গিয়েছে হুগলি নদী। সেখানেই ছোট্ট একটা দুপুরে চড়ুইভাতির মেজাজে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো। পর্যটক টানতেই পুরসভার উদ্যোগে নতুন করে সেজে উঠেছে পুরনো কেল্লার পিকনিক গ্রাউন্ড। অতীতে শুধুমাত্র ভ্রমনের কারনে হলেও বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই পিকনিকের মজা উপভোগ করতে ডায়মন্ড হারবারে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।

Tourism : চাই পর্যটনের রসনাতৃপ্তি ! স্বাগত জানাবে রয়্যাল বেঙ্গল ! শীতের আমেজে হাতছানি ডায়মন্ড হারবারের

Read More : Higher Secondary : সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা – উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে বদল শিক্ষা সংসদের

শুধুই পর্যটন নয় , একাধিক ইতিহাসের সাক্ষী এই ডায়মন্ড হারবার। শুধুই ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে মহাত্মা গান্ধীর পদধূলিধন্য ডায়মন্ড হারবার। ব্যাস তাহলে আর দেরি কিসের। ডায়মন্ড হারবার শহর একেবারে অন্যতম আদর্শ জায়গা। আলসেমি ভরা ব্ল্যাঙ্কেটকে পিছনে সরিয়ে রেখে একঘেয়ে কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটু অবসর পেতে অপেক্ষা না করে বেরিয়ে পড়ুন হীরক বন্দরের উদ্দেশ্যে যেখানে হুগলি নদীর অনন্ত সুবিশাল জলরাশি আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।