Bangla24X7 Desk : পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীকোন্দল মাথাব্যথা বাড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তাই সেসব মিটিয়ে দলীয় ঐক্যে জোর দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্যের শাসকদল। শনিবার ভাঙড়ে আরাবুল-কাইজার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তাঁদের নিয়ে ভবানীপুরে বৈঠকে বসলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সি । ছিলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল  বিধায়ক শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদরা। ঘণ্টা দুই ধরে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন সুব্রত বক্সি। শওকত মোল্লাকেই ভাঙড়ের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হল দলের তরফে। সুব্রত বক্সির স্পষ্ট নির্দেশ, সকলকে শওকতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে।

কোথাও আরাবুল ঘনিষ্ঠদের প্রতাপ, কোথাও কাইজার আহমেদের, কোথাও আবার বিধায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। গত বিধানসভা ভোটে ভাঙড় কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সেখানে জিতেছেন সংযুক্ত মোর্চার জোটের শরিক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না মেটালে তার প্রভাব যে নির্বাচনী ফলাফলে পড়বেই, তা নিশ্চিত। তাই তা মেটাতে এত তৎপর শাসকদল। সুব্রত বক্সি জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করে দেবে দল। স্থানীয় নেতাদের পরামর্শ শোনা হতে পরে। তবে তাঁদের কথাই শেষ কথা নয়। চূড়ান্ত তালিকা ঠিক করবে দলই।  আসলে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে দলের হারে নেতাদের কপালে চিন্তা বড়সড় ভাঁজ পড়েছে। কেন শোচনীয় ফলাফল, তা জানতে ইতিমধ্যেই অন্তর্তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *