Bangla24x7 Desk : সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর দলনেত্রী বলেছিলেন, জেল থেকে বীরের সম্মান দিয়ে ফেরত আনতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে৷ কিন্তু অনুব্রত গ্রেফতারের পর প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফরে কার্যত কেষ্ট ছোঁয়াচ এড়ালো তৃণমূল৷ মুখ্যমন্ত্রী এবং দলনেত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বোলপুর, শান্তিনিকেতন এলাকায় লাগানো তোরণ, পোস্টার, ব্যানারে কোথাও নেই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি৷

তৃণমূলের এই কৌশল নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি৷ তাঁদের দাবি, অনুব্রতর মুক্তির সম্ভাবনা নেই বুঝেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে শাসক দল ৷ যদিও বিজেপি-র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল ৷ গরু পাচার মামলায় গত পাঁচ মাস ধরে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তারই মাঝে এই প্রথমবাার অনুব্রতহীন বীরভূম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভামঞ্চের আশেপাশে থাকছে না অনুব্রতর ছবও। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি ‘প্রিয়’ কেষ্টর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূলের ? যদিও ঘাসফুল শিবিরের তরফে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য অনুব্রতহীন বীরভূমে তাঁর ব্যানার, পোস্টার ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর সভা আদতে দূরত্ব বাড়ানোরই ইঙ্গিত। সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পার্থকে ছাঁটতে সাত দিন নিয়েছিল। কেষ্টকে ছাঁটতে সাত মাস লাগল? একজনের কাছে ৫৫০ কোটি আর একজনের কাছে ৩৫০ কোটি। আসলে যে যত বেশি টাকা তুলতে তৃণমূলে তার তত বেশি গুরুত্ব। এখন বাঘ খাঁচায় বন্দি। খেঁকশিয়ালদের জেলে ভরা হচ্ছে। এগুলো সব টেন পার্সেন্টের লোক। যারা আশি নব্বই পার্সেন্ট নিয়েছে, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত ধরা না পড়বে, এর মূলে পৌঁছানো যাবে না। আরও অনেক ক্লু পাওয়া যাবে। দুর্নীতি সামনে আসবেই।”

তিন দিনের বীরভূম সফরে বোলপুর পৌঁছবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজই বোলপুরে বীরভূমের সাংসদ, বিধায়ক সহ দলের বিভিন্ন স্তরের প্রায় সত্তর জন পদাধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি৷ আগামী দু’ দিনে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের পাশাপাশি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকও করার কথা তাঁর৷ অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফর এবং জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ৷

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *