Bangla24x7 Desk : ‘কোচবিহারের সাংসদ, যিনি এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, তিনি এক সময় আমার অধীনেই ছিলেন। কিন্তু আমি জানতে পারি ২০১৮ সালে আমার নাম করে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করেছেন। সেই সময়েই তাঁকে বহিষ্কার করেছিলাম। আমরা যাঁদের আবর্জনা ভেবে বহিষ্কার করি, অন্যরা তাঁদের সম্পদ ভেবে নেয়। আমি মনে করি দুষ্টু গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল।’’ অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা ভুল করলে ভুল স্বীকার করতে জানি। তাই আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আপনারা আমার সঙ্গে থাকলে আমি সব ঠিক করব। এখন থেকে কোচবিহারের দায়িত্ব আমার। আপনাদের সমর্থন পেলে সব কিছু ঠিক করা সম্ভব আমার পক্ষে।’’

নিশীথের ওপর খড়্গহস্ত হয়ে অভিষেক  বলেন, ‘‘আমার নাম করে নৌকা ইত্যাদি প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছিল। আমি জেনেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করি। সেই সময় কিন্তু আমি কোচবিহারের দায়িত্বে ছিলাম না। এখন কোচবিহারের দায়িত্ব আমার নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। তাই সেই সময় যে সব ভুল হয়েছিল এ বার আর তা হবে না।’’ শুধু এভাবেই আক্রমণ করে থামেননি অভিষেক।

তাঁর কথায়, ‘‘কোচবিহারের সমস্যা নিয়ে গত চার বছরে একটি বারের জন্য সংসদে সরব হননি এখানকার বিজেপি সাংসদ। এমনকি কোভিডের সময়ে কোচবিহারের মানুষ কেমন আছেন, তার খোঁজও নেওয়া হয়নি। সেই কঠিন সময়ে আপনাদের পাশে ছিল তৃণমূল।’’ নিশীথের কথা উল্লেখ করে কোচবিহারবাসীর প্রতি অভিষেকের সতর্কবার্তা, ‘‘কেউ আমার লোক নয়, যাঁরা মঞ্চে আছেন তাঁরাও নয়। যাঁরা নীচের ঘোরাফেরা করছেন তাঁরাও নয়। যদি কেউ বলে আমি অভিষেকের লোক, তাঁকে দাঁড় করিয়ে ‘এক ডাকে অভিষেক’ এ ফোন করুন।’’ ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর ফোন নম্বরটিও জনসভায় জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।

অভিষেকের অভিযোগ, কোচবিহারে ১২৮টি পঞ্চায়েত আছে। ১২৭টি তৃণমূল জিতেছিল। ১টি বিজেপি জিতেছিল। বিজেপি পরিচালিত ঘোকসাডাঙা পঞ্চায়েত, মাথাভাঙা বিধানসভার অন্তর্গত। প্রধানের নাম দীপ্তি বর্মণ। স্বামী রতন বর্মণের নামে জব কার্ড তৈরি করেছেন ওই প্রধান। শ্বশুরের নামে আবাস যোজনার বাড়ির আবেদন করেছেন। সঙ্গে স্বামীর কাকা বিজন কুমার বর্মণও আবাস পেতে আবেদন করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান হয়েই দীপ্তির পরিবার জাতীয় সড়কের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *