Bangla24x7 Desk : ঘাসের উপর জোড়াফুল, ত্রিপুরা বাঁচাবে তৃণমূল। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার লম্বা রোড শো। এমন একটা দলের, যাদের ত্রিপুরার রাজনীতিতে নতুন করে সংগঠন গড়ে তোলা একবছরও হয়নি। সেই তৃণমূল কংগ্রেসের রোড শো-তে কাতারে কাতারে ভিড় দেখা গেল আগরতলার রাস্তায়। হাজারে হাজারে মানুষ পা মেলালেন তৃণমূলের সঙ্গে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে উৎসাহিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিলেন , যারা আজ মিছিলে হাঁটলেন তাঁরা ভোট দিলেই ত্রিপুরা থেকে উৎখাত হয়ে যাবে বিজেপি।

ত্রিপুরা সহ প্রায় সব রাজ্যেই বিজেপির মূল নির্বাচনী স্লোগান হয়ে উঠেছে ডবল ইঞ্জিন সরকার। অভিষেক এদিন সেই ডবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্বই পালটে দিলেন। বলে দিলেন, “ডবল ইঞ্জিনের একটা ইঞ্জিন সিবিআই, একটা ইঞ্জিন ইডি। এখানে রাজ্যও চুরি করবে, কেন্দ্রও চুরি করবে। কেউ কাউকে ধরবে না।” অভিষেকের সাফ কথা, ত্রিপুরায় আর ডবল ইঞ্জিন সরকার চায় না। চায় বাংলার সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার। আগামী মার্চ থেকে দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে উন্নয়ন চাই। মমতার নেতৃত্বে ত্রিপুরার মাটিতে পরিবর্তনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

অভিষেকের সাফ কথা, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে একমাত্র তৃণমূলই। কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না। মাটি কামড়ে লড়াই করুন। তিনি নিজেও আগামী দিনে ফের ত্রিপুরায় যাবেন, ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কর্মীদের চাঙ্গা করতে তিনি বলে দিয়েছেন, আগামী সাতদিন মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন। যেখানে যেতে বলবেন, আমি যাব। অভিষেক মমতার মন্ত্রই এখন অস্ত্র ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মীরা।

বিজেপির বিকল্প যে সিপিএম বা কংগ্রেস হতে পারে না, সেটা এদিন আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, “প্রায় ২৫ বছর ত্রিপুরা সিপিএমের অপশাসন দেখেছে। বাংলা এবং ত্রিপুরা দুটি রাজ্যকে ধ্বংসাবশেষ করে দিয়েছে বামেরা। সিপিএমের সেই হার্মাদরাই আজ বিজেপির জল্লাদ। অভিষেক মনে করিয়ে দেন, সিপিএমের নেতৃত্বে ত্রিপুরা যেভাবে সন্ত্রাসবাদী, দুর্নীতিকারীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল, আজ বিজেপির শাসনে অর্থনৈতিকভাবে সেই ত্রিপুরা বিপর্যস্ত, এভাবে রাজ্যের আর্থিক উন্নতি বা কর্মসংস্থান সম্ভব নয়। একমাত্রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারেন ত্রিপুরায় বিজেপির চক্রব্যুহ ভেদ করতে। কংগ্রেস-সিপিএম বিকল্প নয়। বাংলা পারলে ত্রিপুরা কেন পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *