Bangla24x7 Desk : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে জামিন পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তাঁকে জামিন দিয়েছেন। তবে জামিন পেলেও চারটি শর্ত মেনে চলতে হবে মানিককে। শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। চার শর্ত মানতে হবে তাঁকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের জেল মুক্তি হবে আজ, বৃহস্পতিবারই। কী কী শর্ত মানতে হবে তাঁকে ?
তবে হাইকোর্টের নির্দেশে মানিক ভট্টাচার্যকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে, তদন্তে সাহায্য করতে হবে, ট্রায়াল কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। নিম্ন আদালতের সীমানার বাইরে যেতে পারবেন না মানিক। কোনও সাক্ষীর উপরে যাতে কোনও প্রভাব না খাটানো হয়, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল সিবিআই। কিন্তু তাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি। এই মামলায় ইতিমধ্যে আদালতও রক্ষাকবচ দিয়েছে তাঁকে। দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তার পর ২৩ মাস জেলেই ছিলেন তিনি। বার বার আদালতের জামিনের জন্য সওয়াল করেছেন। কোনও আইনজীবী নেননি। নিজের হয়ে নিজেই সওয়াল করেছেন। ২৯ শে আগস্ট শুনানি শেষ হয়েছিল। কিন্তু কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। এদিন মানিক ভট্টাচার্যকে জামিন দিল আদালত। সূত্রের খবর, আজই জেলমুক্তি। ইতিপূর্বে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি ছিল, প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট ধ্বংস থেকে নিয়োগের তালিকা তৈরি সবটাই হত মানিত ভট্টাচার্যের অঙ্গুলিহেলনে। এমনকী, বেআইনি আর্থিক লেনদেনেও তাঁর যোগ মিলেছিল বলে দাবি করেছে ইডি। এর আগে জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। শুনানি চলাকালীন উচ্চ আদালতে মানিক কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। আদালতে ইডি জানিয়েছিল, মানিকের ছোট ভাইয়ের বয়ানকে হাতিয়ার করে জামিনের বিরোধিতা করছে তারা। কেন্দ্রীয় সংস্থার এই বক্তব্য শোনার পর কেঁদে ফেলেন মানিক। তিনি জানান, গ্রেফতারির সময় তাঁর ভাই সিবিআইকে কী বলেছেন, জামিনের ক্ষেত্রে তা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। ওই দিন জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন মানিক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করেছে সিবিআইও। তবে সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করেনি।