Bangla24x7 Desk : অসহ্য গরম , কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা। কোনভাবেই কমছে না তীব্র গরমের দাপট। উত্তরে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণের আবহাওয়া শুকনো খটখটে। গুমোট-প্যাচপ্যাচে গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। দহন জ্বালায় জ্বলছে গোটা দক্ষিণ। উত্তরবঙ্গে বর্ষার আগমনের উত্তর পাওয়া গেলেও দক্ষিণবঙ্গে ‘লেট লতিফ’ বর্ষা! দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ না করা পর্যন্ত এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য চাতকের ন্যায় অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। আবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে আবারও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত চড়তে পারে পারদ।
আপাতত কয়েকদিন দহন জ্বালায় পুড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। বৃদ্ধি পাবে গরম , দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। তাপমাত্রাজনিত অস্বস্তিও বৃদ্ধি পাবে বলেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। সাধারণত ১০ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। ১১ ই জুন কলকাতায় বর্ষা ঢুকে যায়। আবহাওয়াবিদদের মতে , মৌসুমি বায়ু দুর্বল হওয়ার কারণেই সব পর্বেই বর্ষার প্রবেশে ‘লেট’ হওয়ার আশঙ্কা। এদিকে আবার উত্তরবঙ্গে সময়ের আগেই ঢুকে গিয়েছে বর্ষা। ১৩ জুনের আগে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশের সম্ভাবনা কম। কলকাতা সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে আঞ্চলিকভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
তবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ছবিটা আবার পুরো আলাদা। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং , কালিম্পং , জলপাইগুড়ি , আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার – এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি বইতে পারে দমকা হাওয়া। তবে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। তবে শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের আর কোনও জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আবওহাওয়া দপ্তর।