Bangla24x7 Desk : ঢুকেছিলেন মুখে হাসি নিয়ে। নিয়োগের সুপারিশপত্র হাতে নিয়ে তাঁদের অধিকাংশই বেরিয়ে এলেন চোখে জল নিয়ে। কয়েকজনকে তো অঝোরে কাঁদতে দেখা গেল। স্কুলে শিক্ষকতা করার স্বপ্নপূরণের খুশিতে, আবেগে ভেসে কাঁদলেন কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সরকার, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা দপ্তর সহ স্বপ্নপূরণে সাহায্যকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁরা বললেন, ‘মানবিক সরকার।’
সল্টলেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন দপ্তরে স্কুলে উচ্চপ্রাথমিক স্তরে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষমান তালিকায় থাকা সকল প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশপত্র দিতে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হল বৃহস্পতিবার। প্রথমদিনে কর্মশিক্ষা বিষয়ের ২৭৮ জন পুরুষ প্রার্থীকে ডেকেছিল এসএসসি। এদিন সকাল দশটা থেকেই হাজির হন তাঁরা। পছন্দসই স্কুল বেছে নেওয়ার পর এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের হাত থেকে নিয়োগের সুপারিশপত্র নেওয়ার সময় অনেকের চোখ থেকেই জল গড়াল। মুখের হাসিটা যদিও মিলিয়ে যায়নি। ডাক পাওয়া ২৭৮ জনের মধ্যে ২৫০ জন এদিন সুপারিশপত্র নেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘২৭ জন অনুপস্থিত ছিলেন এবং একজন সুপারিশপত্র নিতে অস্বীকার করেছেন। বাকি ২৫০ জনের হাতে আমরা সুপারিশপত্র তুলে দিয়েছি।’’
নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছিলেন কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে রাজ্য সরকার তৈরি করেছিল ১৬০০ অতিরিক্ত শূন্যপদ। সেই শূ্ন্যপদগুলিতেই কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার মোট ১৪০৪ জন অপেক্ষমাণ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কর্মশিক্ষার ৫৮১ জন এবং শারীরশিক্ষার ৮২৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। আজ, শুক্রবার কর্মশিক্ষার ৩০৩ জন মহিলা প্রার্থীর কাউন্সেলিং হবে। ১২, ১৪ এবং ১৬ নভেম্বর হবে শারীরশিক্ষার প্রার্থীদের কাউন্সেলিং। এরপর নিয়োগকর্তা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগপত্র দিলেই স্কুলে গিয়ে শিক্ষকতায় যোগ দেবেন এই প্রার্থীরা। সমাপ্তি ঘটবে পাঁচ বছরের অপেক্ষার।