Bangla24x7 Desk : এবার আরভিএমের ভোটদান ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কমিশন। কর্মসূত্রে অন্য জায়গায় থাকা যে ভোটাররা ভোটদান করতে পারেন না , তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করবে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম এর মতোই এক্ষেত্রে রিমোর্ট ভোটিং মেশিন রাখা হবে। ভোটাররা নিজের এলাকায় এসে ভোটদান করতে না পারলে এই রিমোর্ট ব্যবহার করে ভোটদান করা যাবে।
ভোট দেন না দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। তাঁদের একটা বড় অংশই পরিযায়ী শ্রমিক। এই পরিস্থিতিতে এক নতুন ধরনের EVM যন্ত্র আনার কথা ভাবনাচিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। এই নয়া যন্ত্রের সাহায্যে ভিন রাজ্যে থাকা শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
নতুন ধরনের ইভিএম যন্ত্রটি পরীক্ষামূলক ভাবে প্রদর্শন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই রিমোট ভোটিংয়ের আইডিয়াকে কার্যকর করতে গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ করতে হবে তার তালিকাও প্রস্তুত করে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন।
কী ভাবে কাজ করবে এই নয়া ইভিএম ? এক্ষেত্রে ভোটারের পরিচয় পত্র দেখার পর তাঁর কেন্দ্র যাচাই করবেন সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার। স্ক্রিনে দেখা যাবে দলের প্রতীক। সেখান থেকেই রিমোর্ট ব্যবহার করে ভোটদান করতে পারবেন ভোটদাতারা। সঙ্গে সঙ্গে সেই ভোটদান রাজ্যের কোড এবং কেন্দ্র অনুযায়ী রেকর্ড হয়ে যাবে। রিমোর্ট ভোটিং মেশিন চালু করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত ইতিমধ্যে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানাচ্ছেন, তরুণ ও শহরের বাসিন্দাদের উদাসীনতার দিকে ফোকাস করার পরে এবার রিমোট ভোটিংয়ের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী গণতন্ত্রে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাকে আরও মজবুত করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে , ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ৬৭.৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩০ কোটি মানুষ নির্বাচনে অংশ নেননি। এই তথ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন কমিশন। এই প্রসঙ্গে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, নতুন কোনও ঠিকানায় গেলে বেশির ভাগ ভোটারই পুরনো ঠিকানা বদল করতে চান না। তবে এক্ষেত্রে সবথেকে বড় কারণ যে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকরা তাও বলা হয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা কত তা জানা যায়নি। কেননা কেন্দ্রের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই।