Bangla24x7 Desk : “ভালো হলে নিজেদের ক্রেডিট দেন। খারাপ হলে আমার ঘাড়ে চাপান। আমি কখনই দলের অভ্যন্তরের বিষয় বাইরে বলি না।” তাঁর নিশানায় দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররাই বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফল বিপর্যয়ের পর দলের মধ্যে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সংগঠনের কোনও বিষয়ে তিনি মাথা গলান না বলে কার্যত দায় ঝেড়ে ফেলের চেষ্টাও করলেন বিরোধী দলনেতা। ভোটে বিপর্যয়ের পর প্রবল ডামাডোল শুরু বঙ্গ বিজেপিতে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির বিপর্যয়ের জন্য ঘরে – বাইরে প্রবল আক্রমণের মুখে পড়ে এবার মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলায় প্রার্থী তালিকায় শুভেন্দুর পছন্দকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন মোদি—অমিত শাহ সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের থেকেও শুভেন্দুর উপর বেশি ভরসা করেছিল দিল্লি। তাছাড়া, বঙ্গ বিজেপিতে তিনি নিজের মতো আরেকটি সংগঠন চালান বলেও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গেরুয়া শিবিরের একাংশের। বুধবার সল্টলেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে দিল্লি এবং রাজ্যে দলের চাপের মুখে পড়ে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘সংগঠনের বিষয় নিয়ে আমি কোনও প্রতিনিধিত্ব করি না। আমার কাজ প্রচার করা। সাংগঠনিক ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করি না। ভবিষ্যতে করার ইচ্ছেও নেই।’’ লোকসভা ফলের পরই বিজেপির অভ্যন্তর থেকে একের পর এক শুভেন্দুকে নিশানা করে তোপ দাগা চলছেই। জেতা আসন থেকে সরিয়ে অন্যত্র সরানোয় ঢাক গুড়গুড় না করেই পরপর স্পষ্ট আক্রমণ হানেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লকেট চট্টোপাধ্যায়েরও গলায় একই সুর ছিল। সৌমিত্র খাঁও তোপ দাগেন শুভেন্দুকে।