Bangla24x7 Desk : কেশুভাই প্যাটেল। নাকি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। গুজরাটে পদ্ম ফোটানোর মূল কারিগর কে ? নির্বাচনের আগে ব্যপক ডামাডোল পদ্ম শিবির। ভোটের আগে এই প্রশ্নে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে বিজেপির আঁতুড়ঘর গুজরাট। ‘এই গুজরাট আমি তৈরি করেছি।’ এতে বেজায় ক্ষুব্ধ দলের প্রবীণ নেতারা। ক্ষুব্ধ নেতৃত্বকে বোঝাতে আমেদাবাদ ছুটে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দলের প্রবীণদের বোঝাতে প্রত্যেকের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করছেন। বিক্ষুব্ধ অনেকেই মোরবির সেতু দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন বলে সূত্রের খবর। এক্ষেত্রে সংঘ পরিবারের কী ভূমিকা হয় তাও গুরুত্বপূর্ণ।
এমনিতেই প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর থেকে গুজরাতে বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভের আগুনে পুড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তার উপর মোদির বক্তব্য জ্বলতে থাকা আগুনে ঘৃতাহুতি বলেই মনে করছে দলের একাংশ। কারণ, গত লোকসভা নির্বাচনেও ‘উন্নয়নের গুজরাট মডেল’ ছিল বিজেপির স্লোগান। কিন্তু মোদি ‘এই গুজরাট আমার তৈরি’ দাবি করায় দলের অভ্যন্তরের অসন্তোষে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
,গুজরাট ও রাজ্য বিজেপির বিকাশের আসল কারিগর প্রয়াত কেশুভাই প্যাটেল। তিনি দলকে প্রথম রাজ্যে ক্ষমতায় এনেছেন তাই-ই নয়, নব-গুজরাটের ভিত্তিও স্থাপন করেন তিনি। একই সঙ্গে দলও বিস্তার লাভ করে তাঁর সময়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন অমিত শাহ। ক্ষমতায় এসে একের পর এক উন্নয়নে রাজ্যের মানুষের মন কাড়তে সফল হন তিনি। তাঁকেই উন্নত গুজরাটের কান্ডারি বলে মনে করতে গুজরাটি সমাজ। সেই সময় মোদি ছিলেন কেশুভাই প্যাটেলের ঘনিষ্ঠ শিষ্য। যদিও পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে রাজনৈতিক গুরুকে অস্বীকার করে একচ্ছত্র ক্ষমতা কায়েম করেন নরেন্দ্র মোদি। তখন আবার মোদির ছায়াসঙ্গী ছিলেন অমিত শাহ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর।