Bangla24x7 Desk : চলতি বছরের শুরু থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেই সময় তদন্তকারীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই জল গড়ায় অনেক দূর। অভিযোগ উঠে আসে, সন্দেশখালিতে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। জমি কেড়েছে এলাকার বেতাজ বাদশা-রা। ভোটের আগে সন্দেশখালি কাণ্ডে নয়া মোড়। ভাইরাল হয়েছে ‘স্টিং’ ভিডিও। সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তোপ, “সন্দেশখালি বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত। বাংলাকে ছোট করার নির্লজ্জ চক্রান্ত।”
ভাইরাল ভিডিও অনুসারে , বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। অভিযোগ করানো হয়েছে। গোটাটাই শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশ এবং পরিকল্পনামাফিক হয়েছে।” ভিডিওতে বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ক্যামেরার অন্য দিকে আরও কয়েক জনকে কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিও-য় যে কথোপকথন শোনা যায়, তা হল, ‘এই আন্দোলনকে ধরে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। শুভেন্দু দা তাঁর লোকজনকে দিয়ে টাকা, মোবাইল পাঠিয়ে সাপোর্ট দিচ্ছেন….’। ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি Bangla24x7।
ভিডিওতে মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধরকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমাকে বলত, এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। কী অভিযোগ করতে হবে, বলে দিতেন।” সন্দেশখালির মহিলাদের কী করে রাজি করালেন জানতে চাইলে গঙ্গাধর জানান, গ্রেফতার না করলে সন্দেশখালিতে টেকা যাবে না, বুলেটের আঘাতে শেষ করে দেবে বলে বোঝানো হয়েছিল। তাতেই রাজি হয়েছেন সকলে। প্রথমে রেখা, তার পর বাকিরা অভিযোগ করেন বলে ওই কথোপকথনে উঠে এসেছে। অনেকে থানা-পুলিশ, তদন্তের ভয়ে পিছিয়েও যান বলে শোনা গিয়েছে ভিডিও-য়। ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি Bangla24x7।
যদিও, ভিডিও ভাইরালের পর গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গঙ্গাধর। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি পুরোপুরি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। হাই টেকনোলজির মাধ্যমে আমার গলাকে বিকৃত করা হয়েছে। আমাকে, আমার দলকে, সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মায়েদের কালিমালিপ্ত করতে এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। আমি সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। আইপ্যাক ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করব।”